চলমান সংবাদ

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ডিম থেকে ফুটে বের হলো ১১টি অজগরের বাচ্চা

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ইনকিউবেটরের মাধ্যমে ডিম থেকে ফুটে বের হয়েছে ১১টি অজগরের বাচ্চা। তৃতীয়বারের মতো প্রায় ৬৫ দিন ধরে হাতে তৈরি ইনকিউবেটরে রাখা ১৫টি ডিম থেকে এসব বাচ্চা ফুটেছে। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. মো. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, গত ২০ জুন আমাদের হাতে তৈরি ইনকিউবেটরে অজগরের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটাতে শুরু করে। এবার ১১টি বাচ্চা পেয়েছি আমরা। প্রায় ৬৫ দিন পর ডিম থেকে ফুটে বাচ্চা বের হয়। এটি তৃতীয়বারের মতো সফলতা। এর আগে প্রথমবার ২৫টি, দ্বিতীয়বার ২৮টি বাচ্চা ফুটানো হয়েছিল চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার হাতে তৈরি ইনকিউবেটরে। এসব বাচ্চা বংশবৃদ্ধি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য উন্মুক্ত বনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। অনেক সময় বন্যা, পাহাড়ি ঢলে কিংবা খাদ্যাভাবে লোকালয়ে নেমে আসে অজগর, তখন নির্বিচারে এ সাপটিকে মেরে ফেলেন অসচেতন মানুষ। তাই বন জঙ্গলেও আগের মতো অজগর চোখে পড়ে না। তিনি জানান, অজগরের বাচ্চাগুলোর চামড়া বদলাতে প্রায় ১৫ দিন সময় লাগবে। এরপর খাওয়া-দাওয়া শুরু করবে তারা। ইঁদুর পাওয়া গেলে খেতে দেব, নয়তো মুরগির বাচ্চা দেওয়া হবে। এবারের বাচ্চাগুলোকে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী যথাসময়ে বনে অবমুক্ত করা হবে। প্রসঙ্গত চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা ১৯৮৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ৬ একর পাহাড়ি জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছিল। বর্তমানে এ চিড়িয়াখানার জমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২ একরে। একসময় বাঘশূন্য হয়ে পড়া এ চিড়িয়াখানায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আমদানি করা হয় একজোড়া রয়েল বেঙ্গল টাইগার। তাদের পরিবারে জন্ম হয় বিলুপ্ত প্রায় সাদা বাঘ। এই চিড়িয়াখানায় রয়েছে বিশাল পক্ষীশালা আর বিলুপ্ত প্রজাতির বেশ কিছু পশুপাখি। বর্তমানে সিংহ, জেব্রা, ময়ূর, কুমির, গয়াল, বানর, উল্লুক, ভালুক, চিত্রা ও সাম্বার হরিণ, চিল, শকুন, সজারু, উটপাখি, ইমু, শেয়াল, মেছোবাঘ, অজগর, গন্ধগোকুল, পায়রা, টার্কি, তিতিরসহ ৬৬ প্রজাতির ৬২০টি পশুপাখি রয়েছে।

# ২৫.০৬.২০২২ চট্টগ্রাম #