চলমান সংবাদ

সর্বক্ষেত্রে নারী পুরুষের বৈষম্যের অবসান চাই

-বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে টি ইউ সি সভাপতি তপন দত্ত বলেন বাংলাদেশের নারীরা এখনো সর্বক্ষেত্রে বঞ্চনার শিকার। কৃষি, নির্মান সহ বিভিন্ন সেক্টরে নিয়োজিত বিপুল সংখ্যাক নারী শ্রমিককে মজুরী প্রদানে যেমন বৈষম্য করা হয় তেমনি কর্মক্ষেত্রে হয়রানী নির্যাতন এখনো বন্ধ করা হয়নি। গার্মেন্টস এবং বেসরকারী স্বাস্থ্য সেক্টর সহ বিভিন্ন সেক্টরে মাতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া হয়না।

বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলা কমিটির উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন উপলক্ষে ৮ মার্চ সকাল ১০টায় টি ইউ সি চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ে জেলা নারী নেত্রী কোহিনুর আক্তার কলির সভাপতিত্বে এবং রুমি আক্তারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন টিইউসি চটগ্রাম জেলার সভাপতি তপন দত্ত এবং অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন, নির্মান শ্রমিক নেতা আলতাজ বেগম, কোহিনুর আক্তার কাজল, জান্নাতুল, রুজিনা আক্তার, আনিকা আক্তার, কাম্রুন্নাহার জুঁই প্রমুখ শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য কোপেনহেগেনে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলনে জার্মান সমাজতানন্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের প্রস্তাব অনুসারে ১৯১১ সাল থেকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হচ্ছে এবং ১৯৮৪ সাল থেকে এই দিবসটি জাতি সংঘের স্বীকৃতি লাভ করে।

এই দিবস পালন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে টি ইউ সি নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের মোট জনশক্তির প্রায় অর্ধেক নারী। আবার নারী শ্রমিকের সিংহভাগ অংশ কৃষি কাজের সাথে যুক্ত থেকে খাদ্য ঘাটতি পূরণ ও কৃষি নির্ভর অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে। নারী শ্রমিক নির্ভর পোশাক শিল্প খাত আজ বাংলাদেশের প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতেও নারীর অবদান সর্বজন স্বীকৃত। অনেক নারী শ্রমিক পরিবার-পরিজন ছেড়ে প্রবাসে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রাও আয় করছে।জিডিপির একটা বড় উৎস আসছে নারীর আয় থেকে। নারীর এই অর্জন কোন সহজ পথে আসেনি।শত অবজ্ঞা ও প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করেই নারী সামনের দিকে এগিয়ে চলছে। তাই নারী শ্রমিকদের শোষণ, নির্যাতন, হয়রানী, সহিংসতা ও বৈষম্য থেকে মুক্ত করাই আজকের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের অন্যতম চ্যালেঞ্জ।

সমাবেশের পর এক সুসজ্জিত র‍্যালি চট্টগ্রামের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে।