চলমান সংবাদ

বিএম কন্টেইনার ডিপো দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকদের দিনকাল -৩

-ক্ষতিপূরণের আশায় মালিককে দেয়া ২০ হাজার টাকাও গচ্ছা গেল

নয়ন বড়ুয়া (ফাইল ছবি)

নয়ন বড়ুয়া, বাবুর্চি হিসাবে চাকরি করতো ডিপোর অভ্যন্তরে রহমানিয়া হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট নামে একটি ক্যান্টিনে। মজুরি দৈনিক ৬০০ টাকা করে।  বিএম ডিপো দুর্ঘটনায় সে আহত চট্টগ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি হয়। প্রায় ১৮ দিন চিকিৎসাধীন ছিল। এখনো পুরোপুরি সুস্থ্য হয়নি। বিগত এক বৎসর যাবৎ তার চিকিৎসা চলছে।

সারা শরীরে আঘাতের ছিহ্ন। কোমড়ে অপারেশন হয়েছে। বাম পায়ের উপর ভাল করে ভর দিতে পারে না। ফলে বেশীক্ষন দাঁড়িয়ে থাকা, হাটা এবং চলাফেরা করা তার জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। এখন দুই কানে কম শুনে।

এখন থেকে যদি ভাল করে চিকিৎসা করানো না যায় তাহলে হয়তো তার পক্ষে সুস্থ্য হয়ে উঠা কঠিন হয়ে যাবে। নয়ন মালিকের কমিট্মেন্ট অনুযায়ী ৪ লক্ষ টাকা পাওয়ার প্রত্যাশায় এখনো প্রহর গুনে। এই টাকা পাওয়ার জন্য সে তার ক্যান্টিন মালিকের হাতে অনেক কষ্টে উপার্জিত ২০ হাজার টাকা তুলে দেন। মালিক আশা দিয়েছিল ২০ হাজার তাকে দিলে সে  ডিপো কর্তৃপক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের টাকা আদায় করে দিতে সাহায্য করবে।

নয়ন ক্ষতিপূরণতো পায়নি বরং মালিকের হাতে তুলে দেয়া ২০ হাজার টাকাও তার গচ্ছা গেল।

নয়ন জানাল, বিএম ডিপো দুর্ঘটনার পূর্বে সুখেই কাটছিল তার সংসার। হঠাৎ একটি দুর্ঘটনায় তার সবকিছুই ওলট-পাল্ট হয়ে গেল। এখন সে নিজের চিকিৎসা করাবে নাকি সংসারের ঘানি টানবে?  কোন কিছুই তার মাথায় কাজ করছে না। যাওয়া সময় সে শুধু বলে গেল ডিপো কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৪ লক্ষ টাকা পেলে সে ভালভাবে চিকিৎসা করাতে পারতো। বর্তমানে তার যা শারীরিক অবস্থা তাতে কোনভাবেই তার পক্ষে চাকরি করা সম্ভব হবেনা।

নয়ন তার প্রায় ক্ষতিপূরন আদায়ের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা, ট্রেড ইউনিয়ন নেতা এবং সচেতন নাগরিক পক্ষ থেকে সহযোগিতা কামনা করেন।