চলমান সংবাদ

বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর কমিউনিটি সেন্টার ও ডেকোরেটার্স শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম সিরাজ মিয়ার প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে এক দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা আজ সকাল ১০টায় সদর ঘাটস্থ ক্লাব ৭১ এ অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সভাপতি তফাজ্জল হোসেন প্রধানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ পারভেজ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সংগ্রামী সহসভাপতি, চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তপন দত্ত, অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলস এর প্রোগ্রাম অফিসার ফজলুল কবির মিন্টু,

বেসরকারী স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুর রহিম, মরহুম সিরাজ মিয়ার ছোট ছেলে মোঃ কায়সার, সংগঠনের কেদ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মোঃ সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সেলিম, অর্থ সম্পাদক মোঃ জালাল, আপ্যায়ন সম্পাদক মোঃ বাবুল সরকার, লালখান বাজার শাখা কমিটির মোঃ শাহিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাদেক, কাজির দেউরি শাখা কমিটির সভাপতি মোঃ বাচ্চু মিয়া, আতুরার ডিপো শাখা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো; শাকিল, তক্তার পুল শাখা কমিটির উপদেষ্টা মোঃ রিয়াজ, মোঃ খলিল মোঃ সুমন, মোঃ মেহেদী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।  সভা শেষে মরহুম সিরাজ মিয়ার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথি বীরমুক্তিযোদ্ধা তপন দত্ত বলেন, ১৯৭১ সনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ মিয়া দেশ প্রেমের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। পরবর্তীতে তিনি নিজ পেশার লোকদের সংগঠিত করে তাদের জীবন মান উন্নয়নের জন্য মৃত্যুর আগ মুহুর্ত পর্যন্ত নিয়োজিত ছিলেন। তিনি বলেন, যে স্বপ্নকে বুকে ধারণ করে তিনি সিরাজ মাঝি এবং আমরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম সে সপ্ন আজও পূরন হয়নি। কমিউনিটি সেন্টার শ্রমিকেরা অনেক লড়াই সংগ্রাম করে দৈনিক ৪ শত টাকা মজুরির দাবি আদায় করতে সক্ষম হলেও তা দিয়ে শ্রমিকদের জীবন-জীবীকার ব্যায়ভার বহন করা সম্ভব হচ্ছেনা। তিনি আরো বলেন, বর্তমান উর্ধগতির বাজার বিবেচনায় নিয়ে কমিউনিটি সেন্টার ও ডেকোরেটার্স শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি কমপক্ষে ৬ শত টাকা নির্ধারন করা উচিৎ।

সভায় অন্যান্য উপস্থিত নেতারা বলেন, বর্তমান দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির কারনে শ্রমজীবী মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে দেশে অতিসত্বর সার্বজনিন রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা জরুরি হয়ে পড়েছে।