চলমান সংবাদ

রোমানিয়া: লরিতে সীমান্ত অতিক্রমকালে অনেক বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি নাগরিক আটক

হাঙ্গেরি সীমান্তের একটি পয়েন্টে দায়িত্বরত বর্ডার পুলিশের একজন সদস্য। ছবি: রোমানিয়া বর্ডার পুলিশ।

দুটি লরিতে লুকিয়ে মঙ্গলবার শেঙেন সীমান্তে প্রবেশ করতে চেষ্টা করা ৪৭ জন বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি অভিবাসীকে আটক করেছে রোমানিয়া সীমান্ত পুলিশ। তারা তুরস্ক ও বুলগেরিয়ায় নিবন্ধিত দুটি গাড়িতে চড়ে বেআইনি উপায়ে হাঙ্গেরিতে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন।

রোমানিয়া বর্ডার পুলিশ ৩ মে, বুধবার, এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশটির নাদলাক এবং নাদলাক ২ সীমান্ত পয়েন্ট থেকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ৪৭ জন নাগরিককে দুটি পৃথক অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আটক হওয়া অভিবাসীরা প্লাস্টিকের দানা এবং মিনারেল ওয়াটারের বোতল বোঝাই দুটি লরিতে লুকিয়ে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করছিল বলে জানা গেছে।

সীমান্ত পুলিশ ও কাস্টমসকে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রথম গাড়িটি তুরস্ক-পোল্যান্ড রুটে প্লাস্টিকের দানার ব্যাগ পরিবহন করছিল। টহল দলের সন্দেহ হলে তারা গাড়িটি ভালোভাবে যাচাই করার সিদ্ধান্ত নেন।

এক পর্যায়ে গাড়িটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করার পরে পরিবহন করা পণ্যগুলির মধ্যে কার্গো বগিতে লুকিয়ে রাখা ২৪ জন বিদেশি নাগরিককে খুঁজে পায় পুলিশ।

এসব ব্যক্তিদের সেখান থেকে তদন্তের জন্য স্থানীয় অভিবাসন কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিস্তারিত সাক্ষাৎকারের পর সীমান্ত রক্ষীরা নিশ্চিত করেন যে তারা বাংলাদেশি এবং পাকিস্তানি নাগরিক। তাদের বয়স ২০ থেকে ৪৯ বছরের মধ্যে। তাদের সবাই নিজ নিজ পাসপোর্ট দিয়ে বৈধভাবে রোমানিয়ায় প্রবেশ করেছিল।

অপরদিকে, নাদলাক বর্ডার ক্রসিং পয়েন্টে সীমান্ত রক্ষীরা বেলারুশের নাগরিক চালিত একটি গাড়ি পরীক্ষা করে। গাড়িটির পণ্যের সাথে থাকা নথি অনুসারে মিনারেল ওয়াটারের বোতল পরিবহন করছিলেন।

গাড়িটি চেক করার পর একটি বিশেষ বগিতে ২৩ জন বিদেশি নাগরিককে দেখতে পায় পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা যায়, তারা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। এসব ব্যক্তিদের বয়স ২০ থেকে ৪৬ বছরের মধ্যে। তারা সবাই বৈধ ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় রোমানিয়াতে প্রবেশ করেছে।

উভয় ক্ষেত্রেই সীমান্ত রক্ষীরা চালকদের বিরুদ্ধে মানবপাচারের অপরাধ এবং অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বেআইনি উপায়ে রাষ্ট্রীয় সীমান্ত অতিক্রম করার অপরাধ তদন্ত করছে। তদন্ত শেষ হলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আইন অনুযায়ী অভিবাসীদের সবাইকে নিজ নিজ দেশে ডিপোর্ট এবং রোমানিয়া ও শেঙেন জোনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় রোমানিয়া কর্তৃপক্ষ।