চলমান সংবাদ

জার্মানির পূর্বাঞ্চলে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মন্ত্রী

সাবেক পুলিশ সদস্য ড্যোরেন ডেনস্টেড কমিউনিস্টশাসিত সাবেক পূর্ব জার্মানি, অর্থাৎ একীভূত জার্মানির পূর্বাঞ্চলের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মন্ত্রী হয়েছেন৷ বুধবার উগ্রডানপন্থিদের ‘হটবেড’ হিসেবে পরিচিত এই অঞ্চলের বিচার এবং অভিবাসন মন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি৷

সবুজ দলের রাজনীতিবিদ ৪৫ বছর বয়সি ডেনস্টেড থুরিংগিয়া রাজ্যে ডির্ক অ্যাডামসের স্থালাভিষিক্ত হয়েছেন৷ অ্যাডামস অভিবাসন নীতি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে দলীয় সমর্থন হারানোর পর তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়৷

থুরিংঙ্গিয়া রাজ্য সরকার উগ্র বামপন্থি বাম দল, সামাজিক গণতন্ত্রী এবং সবুজদের নিয়ে গড়া হয়েছে৷ সেখানে জনপ্রিয় উগ্র ডানপন্থি এএফডিকে রুখতে এই জোট গড়া হয়েছিল৷

অভিবাসী এবং মুসলিমবিরোধী হিসেবে পরিচিত এএফডি’র সংশ্লিষ্ট রাজ্যের অংশটিকে বিশেষভাবে উগ্রপন্থি মনে করা হয়৷ তাদেরকে নজরদারিতে রেখেছে আঞ্চলির নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ৷

ডেনস্টেডের বাবা তানজানিয়া থেকে জার্মানিতে পড়তে এসেছিলেন৷ জার্মান দৈনিক টাগেসস্পিগেলকে তিনি বলেন, ‘‘আপনি যদি থুরিঙ্গিয়ার সংবিধান পছন্দ করেন, তাহলে আপনাকে বামপন্থি হিসেবে বিবেচনা করা যায়৷’’

‘‘আমি দৃশ্যমান হতে পারি ­­– আসলে শ্বেতাঙ্গসংখ্যাগরিষ্ঠ সমাজে আমি সবসময় আলাদা হিসেবে দৃশ্যমান ছিলাম, সেটা আমি চাই বা না চাই,’’ যোগ করেন তিনি৷

ডেনস্টেড বিচার ব্যবস্থার পাশাপাশি অভিবাসী এবং শরণার্থী সংক্রান্ত বিষয়াদি দেখভাল করবেন৷ তিনি অপরাধ, বর্ণবাদ এবং বৈষম্যের শিকারদের কণ্ঠস্বর হতে চান৷

তিনি এ কথাও জানিয়েছেন যে, জার্মান নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও তার কাছে নিয়মিতই জার্মানিতে বসবাসের অনুমতিপত্র দেখতে চাওয়া হয় এবং বর্ণবাদী হামলার আশঙ্কায় তিনি রাতের বেলায় গণপরিবহণ ব্যবহার করেন না৷

ডেনস্টেডের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের শুরু হয় ২০২১ সালে৷ তিনি মন্ত্রী হবেন- এ ঘোষণা আসার পর থেকেই অনলাইনে ঘৃণাবাচক নানা বক্তব্যের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাকে৷ পাশাপাশি অনেক উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্য পাওয়ার কথাও অবশ্য জানিয়েছেন ড্যোরেন ডেনস্টেড৷

‘‘একটি অবিশ্বাস্য সংখ্যার মানুষ জানিয়েছে যে, তারা আমাকে নিয়ে গর্বিত এবং আমার সক্ষমতা সম্পর্কে আশাবাদী,’’ টাগেসস্পিগেলকে বলেন এই রাজনীতিবিদ৷

এআই/এসিবি (এএফপি)