চলমান সংবাদ

বিলস যুব নেটওয়ার্কের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

আজ বিকাল ৪টায় বিলস যুব নেটওয়ার্কের এক কর্মী সভা বিলস চট্টগ্রাম অফিস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নেটওয়ার্কের  সংগঠক ফজলুল কবির মিন্টুর সভাতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্তসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিলস-এলআরএসসি সেন্টার কোর্ডিনেশন কমিটির চেয়ারম্যান শ্রমিকনেতা এ এম নাজিম উদ্দিন এবং অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নেটওয়ার্কের অন্যতম সংগঠক উজ্জ্বল বিশ্বাস, শাহনেওয়াজ চৌধুরী,  আবু আহমেদ মিয়া, আলমগীর হোসেন, গুলজার বেগম, এডভোকেট ইকবাল হোসেন, তাজ আলমগীর, হাসান মাহমুদ, মোঃ জাবেদ আলম, নূরুল কবীর স্বপন, হাসিবুর রহমান বিপ্লব, জান্নাতুল ফেরদৌস, নার্গিস আক্তার, লাকী আক্তার, হুমায়ুন কবির, মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

সভায় সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে কিছু পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের চাকরি অবসানের পর চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধ করা হচ্ছেনা। অথচ শ্রম আইনের ১২৩(২) ধারা অনুসারে প্রত্যেক শ্রমিকের চাকরি অবসানের ৩০ দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধ বাধ্যতামূলক। এই ব্যাপারে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ। তাদেরকে অভিযোগ দেয়া হলেও তাদের পক্ষ থেকে খুব একটা উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। ফলে ব্যাপক সংখ্যক শ্রমিক চাকরি শেষে তাদের চূড়ান্ত পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এতে শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হচ্ছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, এই ব্যাপারে শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপক হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা বলেন শ্রমিকদের পুঞ্জীভূত হতাশা ও ক্ষোভ দূর করতে হলে অবিলম্বে মালিক এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের পক্ষ থেকে উদ্যাগ নিতে হবে। অন্যথায় ভবিষ্যতে কোন ধরণের শ্রম অসন্তোষ সৃষ্টি হলে তার দায় দায়িত্ব মালিক পক্ষ এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরকেই নিতে হবে।

সভায় জানানো হয় এশিয়ান গ্রুপের মালিকানাধীন ফ্যাশন ওয়াচে সানজিদা নামের একজন শ্রমিক রিজাইন দেয়ার ৬ মাস পরেও তাকে চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধ করা হয়নি। শরিফা নামের একজন শ্রমিক আহত কারখানা প্রাংগনে আহত হয়ে সুস্থ্য হওয়ার পর কাজ করতে গেলে তাকে কাজ করতে দেয়া হচ্ছেনা। এই ধরণের অসংখ্য অভিযোগ পাওয়া যাছে উক্ত কারখানাটির বিরুদ্ধে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নিয়ে প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালকের সাথে বৈঠক করেও কোন ফল পাওয়া যায়নি।

সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন আলোচনার মাধ্যমে ফল না আসলে লড়াই করে অধিকার আদায় করে নিতে হবে। সভায় আগামী দিনে জোরদার লড়াই সংগ্রাম গড়ে তোলার লক্ষে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ, পেশাজীবী এবং পোশাক খাতের শ্রমিক নেতাদের সাথে মত বিনিময় করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।