চলমান সংবাদ

চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদের অবিলম্বে গলাকাটা হোল্ডিং ট্যাক্স আইন পরিবর্তনের দাবি

পুনঃমূল্যায়নের ভিত্তিতে বর্ধিত হারে গৃহকর আদায় প্রত্যাহার দাবিতে আবোরো আন্দোলনে নেমেছে ‘চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদ’। ‘গলাকাটা হোল্ডিং ট্যাক্স আইন বাতিল করো/দৈর্ঘ্য-প্রস্থ গুণ করো তার ওপর কর ধরো’ এই দাবিতে আয়োজিত জনসমাবেশে বক্তারা ব্রিটিশ আমলের নীল বিদ্রোহের ন্যায় চট্টগ্রামে গৃহকর বিদ্রোহের হুঁশিয়ারি দেন। হোল্ডিংট্যাক্স আইন পরিবর্তন করে পুরানো নিয়মে আয়তনের ভিত্তিতে গৃহকর নেয়ার দাবি জানানো হয় সমাবেশ থেকে। নেতৃবৃন্দ বলেন, গৃহকর বাড়ানোর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সিটি মেয়র নির্বাচনী ওয়াদা ভঙ্গ করে রাজস্ব বিভাগের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ঘুষের অবাধ সুযোগ করে দিয়েছেন। আপিলের নামে সিটি কর্পোরেশনের ফাঁদে পা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। দি মিউনিসিপ্যাল ট্যাক্সেশন রুলস ১৯৮৬ বাতিল করে আয়তনের ভিত্তিতে গৃহকর নির্ধারণের দাবিতে শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) কদমতলী আবুল খায়ের মেম্বার চত্বরে চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদ আয়োজিত সমাবেশ শেষে মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সংগঠনের সভাপতি নুরুল আবছারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আমির উদ্দিন, সাবেক কাউন্সিলর এম এ মালেক, সংগঠনের নেতা হাসান মারুফ রূমি, সাবেক সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস, মুজিবুল হক, হারুনুর রশীদ, মফিজুর রহমান, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, মীর মো. ইসলাম, মো. নজরুল ইসলাম, আরশাদ হোসেন, হাজি সৈয়দ হোসেন, হাসান ইমরান, হাসান মুরাদ শাহ, মো. ইসলাম, মো.আনোয়ার প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন সাজ্জাদ হোসেন জাফর ও সোহেল আহমদ। নুরুল আবছার বলেন, সিটি নির্বাচনের আগে এম রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসায় গেলে জানতে চেয়েছিলাম, মহিউদ্দিন চৌধুরী গৃহকরে হাত দেননি। আপনি কি করবেন? তখন রেজাউল করিম চৌধুরী বললেন, আমার নেতা যেখানে হাত দেন নাই, সেখানে হাত দিয়ে আমার নেতাকে অপমান করতে চাই না। গৃহকর বাড়াবো না। কিন্তু চেয়ারে বসার পর ৫ হাজার টাকার গৃহকর ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দাবি করছেন। কালেকটররা লাখ লাখ টাকা ঘুষ বাণিজ্য চালাচ্ছে। কালেকটররা বলছে, এর ভাগ মেয়র পর্যন্ত যায়। বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। মেয়র-কাউন্সিলররা সেবক। সেবা দেওয়ার জন্যই তাদেরকে আমরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছি। ভাড়ার ওপর হোন্ডেলিং ট্যাক্স বাংলাদেশের এমনকি পৃথিবীর কোথাও নেই- তাই চট্টগ্রামবাসীর ওপর এ যন্ত্রণাদায়ক পরীক্ষা না চালিয়ে অবিলম্বে স্বৈরাচারী আমলে করা অকার্যকর দি মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন ট্যাক্সেশন রুলস -১৯৮৬ আইন বাতিল করে যৌক্তিক উপায়ে গৃহকর না নিলে সুরক্ষার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। পরিষদের মুখপাত্র হাসান মারুফ রুমী বলেন, ‘মেয়র সাহেব বলছেন তিনি কর বাড়াচ্ছেন না, করের আওতা বাড়াচ্ছেন। উনি স্পষ্ট মিথ্যা বলছেন। মিথ্যা বলার মাধ্যমে উনি শপথভঙ্গ করেছেন। আমি মেয়রকে বলতে চাই- চট্টগ্রামের মানুষ শান্ত আছে, তাদের শান্ত থাকতে দিন। অবিলম্বে অন্যায্য হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় বন্ধ করুন। না হলে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামবাসী আপনার বিরুদ্ধে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।’ # ০৩.০৯.২০২২ চট্টগ্রাম #