চলমান সংবাদ

চট্টগ্রামে নিত্যপণ্যের দামে চলছে অস্থিরতা নতুন বেড়েছে আটা-ময়দা-চিনি-মসলার দাম

Panoramic food background with assortment of fresh organic vegetables
 নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন। মানুষের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় চাল-ডাল, আটা-ময়দা, ভোজ্যতেল থেকে শুরু করে সবজি, মাছ-মুরগিসহ সবধরনের ভোগ্যপণ্যের দামে চলছে অস্থিরতা। আটা-ময়দা, চিনির দাম আরেফ দফা বেড়েছে। জিরা, লবঙ্গ, দারুচিনি, রসুনসহ মসলার বাজারে এবার নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। তবে বেশি বেড়েছে এলাচের দাম। এদিকে এখনো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে প্রায় সব ধরনের সবজি। ফলে সবজি কিনে স্বস্তি পাচ্ছেন না ক্রেতারা। সেই সঙ্গে মুরগি এবং মাছের দামেও অস্বস্তি দেখা গেছে। তবে ডিমের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে। শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে খোলা আটার দাম ৫ থেকে ৭ টাকা এবং প্যাকেটজাত আটা ৮ থেকে ১২ টাকা বেড়েছে। খোলা ময়দা ২ থেকে ৫ টাকা আর প্যাকেটজাত ময়দার দাম বেড়েছে ৬ থেকে ৮ টাকা। চালের বাজারে এখনো কোন স্বস্তি ফেরেনি। বর্তমানে প্রতিকেজি মোটা চাল ৬০, মিনিকেট ৭৬ থেকে ৮০, নাজিরশাইল ৮০ থেকে ৯০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। প্রতিকেজি চিনি ৮৮, পেঁয়াজ ৪৫, চিকন মসুরের ডাল প্রতিকেজি ১২০ থেকে ১৪০টাকা, মোটা মসুর ডাল ১০০ থেকে ১১০ টাকা, আলু ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর দফায় দফায় বেড়ে দুই সপ্তাহ আগে ডিমের ডজন ওঠে ১৬০ টাকায়। দেশের ইতিহাসে এর আগে কখনো এতো বেশি দামে ডিম বিক্রি হয়নি। সেটি কমে এখন ডজন ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে মসলার বাজার এখন চড়া। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি খরচ বেশি এবং সামাজিক অনুষ্ঠান বাড়ায় চাহিদাও বেড়ে গেছে। তাই দামও কিছুটা বেশি। খাতুনগঞ্জে মসলার পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি এলাচে ৮শ’ টাকা বেড়ে ২ হাজার ৬শ, লবঙ্গে ১৪০ টাকা বেড়ে ১ হাজার ২শ, জিরায় ১২০ টাকা বেড়ে ৫শ, শুকনা মরিচে ৮০ টাকা বেড়ে ৩৮০, দারুচিনির কেজিতে ১২০ টাকা বেড়ে ৫শ ও রসুনের কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিকেজি তেজপাতা ২২০, গোলমরিচ ৮শ, আলু বোখারা ৪শ, জায়ফল ৫৮০ ও যৌএিক ২ হাজার ৪শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক মাস আগে প্রতিকেজি এলাচ ১ হাজার ৮শ, দারুচিনি ৪শ, জিরা ৩৮০, লবঙ্গ ৯শ ও শুকনা মরিচ ৩শ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। খাতুনগঞ্জের পাইকারি মসলা বিক্রেতা মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমদানিকারকরা মসলার দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। তার উপর পরিবহন খরচ ট্রাকপ্রতি বেড়েছে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। তাই মসলার দাম পাইকারি ও খুচরা বাজারেও বেড়েছে। এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দামে তেমন কোন পার্থক্য দেখা যায়নি। চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ সবজি। বাজারে প্রতিকেজি গোল বেগুন ৭০টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, কাঁকরোল কেজি ৫০ থেকে ৭০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৮০, টমেটো ১০০-১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, পটল ৪০-৫০ টাকা, করলার কেজি ৬০-৮০ টাকা, লাউ আকারভেদে ৪০ থেকে ৬০, চালকুমড়া ৪০, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং কাঁচামরিচ ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজির চড়া দামের কারণে অস্বস্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা। তাছাড়া প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬৫-১৭০ টাকা, সোনালি ২৮০-৩০০ টাকা ও দেশি মুরগি ৫শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারেও দাম এখনও ক্রেতার নাগালের মধ্যে আসেনি। বাজারে এক থেকে দেড় কেজি ওজনের রুই ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায় এবং বড় রুই ৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিকেজি তেলাপিয়া, পাঙাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০-২০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০-৫০০ টাকা, মলা মাছ ৩৫০-৪০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০-৪৫০ টাকা, বড় সাইজের ইলিশ এক হাজার ২০০ টাকা, মাঝারি আকারের ইলিশ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় ও ছোট সাইজের ইলিশ ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
# ২৬.০৮.২০২২ চট্টগ্রাম #