চলমান সংবাদ

র‌্যাব পরিচয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়া সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার

জাল স্ট্যাম্পসহ গ্রেপ্তার এক ব্যক্তিকে ছাড়িয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে র‌্যাব পরিচয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ছয় প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এসময় তাদের কাছ থকে ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

র‌্যার জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। কখনও সাংবাদিক, কখনও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতেন।

শনিবার (২ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানায় র‌্যাব। এর আগে শুক্রবার নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রুবেল হোসেন (৪২), তার ছোট ভাই মানিক হোসেন (৩৮), নজরুল ইসলাম (৪৫), মিজানুর রহমান (৩৪), মো. নীরব (২১), আবু তৈয়ব সিদ্দিকী ওরফে মিঠু (৪৯)।

র‌্যাব জানায়, গত ২৬ জুন নগরীর আগ্রাবাদ এলাকার একটি দোকানে অভিযান চালিয়ে বেশকিছু জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্পসহ ইদ্রিস পাটোয়ারি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই অভিযানে র‌্যাবকে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছিল নজরুল, মিজানুর ও নীরব। তারা তিনজন গ্রেপ্তার ইদ্রিসের বিষয়ে সবকিছু জানতেন এবং তার পরিবারের সদস্যদের নম্বর ছিল। যার কারণে তারা র‌্যাবকে তথ্য দিয়েছিল জাল স্ট্যাম্পের বিষয়ে। র‌্যাবকে সহায়তার পর গ্রেপ্তার ইদ্রিসের পরিবারের কাছ থেকে তারা টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ফন্দি করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, তারা তিনজন রুবেলকে দিয়ে র‌্যাব পরিচয়ে ইদ্রিসের স্ত্রীকে ফোন করে টাকার বিনিময়ে তাকে ছাড়ানোর কথা বলেন।

অভিযানের দিন সন্ধ্যায় রুবেল নিজেকে র‌্যাব-৭’র ক্যাম্প কমান্ডারের গাড়িচালক পরিচয়ে ইদ্রিসের স্ত্রীকে ফোন করে জানান, তার স্বামীর কাছে কোনো জাল স্ট্যাম্প পাওয়া যায়নি। তাই তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে, যার জন্য পাঁচ লাখ টাকা প্রয়োজন। ইদ্রিসের স্ত্রী এত টাকা দিতে পারবেন না জানালে এক পর্যায়ে এক লাখ টাকা দাবি করেন তারা; যদিও পরে দুই পক্ষ ৭০ হাজার টাকায় সম্মত হয়। রুবেলের দেওয়া পাঁচটি নম্বরে ইদ্রিসের স্ত্রী মোট ৭০ হাজার টাকা পাঠান। কিন্তু পরদিন খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ইদ্রিসের বিরুদ্ধে ডবলমুরিং থানায় একটি মামলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রুবেলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে টালবাহানা শুরু করেন।

র‌্যাব-৭’র সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, র‌্যাবের নামে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি জানতে পেরে অনুসন্ধান শুরু করে র‌্যাব। জানা যায়, রুবেল প্রতারক চক্রের সদস্য। বিভিন্ন কৌশলে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আদায় করে। বৃহস্পতিবার বায়েজিদ এলাকায় রুবেলের অবস্থান নিশ্চিত করে পরদিন শুক্রবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি বলেন, রুবেল ও মানিকের বিরুদ্ধে সাধারণ লোকজনকে মামলায় ফাঁসানো এবং ছাড়িয়ে নেওয়ার নামে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অনেক অভিযোগ আছে। আবার তারা বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়েও প্রতারণা করে থাকেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বায়েজিদ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

# ০২.০৭.২০২২ চট্টগ্রাম #