চলমান সংবাদ

জেনারেটরের মাধ্যমে ওসমানী হাসপাতালে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার নির্দেশ তাজুলের

সিলেটে বন্যার পানিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়া এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সিটি কর্পোরেশনের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি আজ বিকেলে রাজধানীর মিন্টুরোডের তার সরকারি বাসভবনে সিলেট অঞ্চলের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ নির্দেশ দেন।
এ সময় তাজুল ইসলাম বন্যার পানি নেমে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোন সড়ক বাধা হয়ে থাকলে তা কেটে ফেলে পানি চলাচল নির্বিঘœ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনকে যে সকল রাস্তার কারণে পানি নেমে যেতে পারছে না, সে সকল রাস্তা তাৎক্ষণিকভাবে কেটে ফেলার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বন্যায় সিলেট ও সুনামগঞ্জ শহর অঞ্চল ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন প্রধান লক্ষ্য হলো বন্যা দুর্গত এলাকা থেকে দ্রুত মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে আসা। আটকে পড়া মানুষদের কাছে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও পানি বিশুদ্ধ করা ট্যাবলেট সরবরাহ করা।
টিউবওয়েলগুলোকে উচুঁ করে পানি উত্তোলন করার জন্য মেকানিক যন্ত্রপাতি পাঠানো হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, সিলেট মেডিকেল কলেজে পানি ঢুকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদুৎ সরবরাহ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বন্যা দুর্গতদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে ও ত্রাণ বিতরণে জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাজ করছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, এছাড়াও, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, সরকারের আগাম প্রস্তুতি ছিল বলেই বন্যা মোকাবেলায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে। বন্যায় রাস্তা, ঘাট, সেতু-কালভার্ট যে ক্ষয়-ক্ষতি হবে সেগুলো মোরমতের জন্যও সরকার প্রস্তুত রয়েছে।

# ১৯/০৬/২০২২, বাসস #