চলমান সংবাদ

অপর প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় খুন হন রমজান আলী

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর চরপাথরঘাটা ইউনিয়নে নির্বাচনে পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী ইসহাকের পক্ষ কাজ করায় বিরোধের জের ধরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. রমজান আলী (৩৫) খুন হন বলে জানিয়েছে পুলিশ। হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকা প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। নিহত রমজান আলী ইচ্ছানগর গ্রামের সাত নম্বর ওয়ার্ডের বাদশা মিয়া ফকিরের ছেলে। তিনি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বড় ভাই মো. আলমগীর বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। হত্যাকান্ডের ৪৮ ঘণ্টার মাথায় ঢাকার উত্তরা থেকে মামলার প্রধান আসামি মো. শহীদুল ইসলাম হৃদয়কে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন, খোরশেদ আলম (৩০), আবুল কালাম (৩২), জাহাঙ্গীর আলম পারভেজ, আরিফুল ইসলাম দুখু (১৯), বিজয় (২০) ও মো. রাশেদ (২৮)। মামলার প্রধান আসামি হৃদয়কে গ্রেপ্তারের পর রোববার (১৯ জুন) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (বন্দর) আবুল কালাম সাহিদ বলেন, কর্ণফুলী চারপাথারঘাটা ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রমজান আলী ইউপি সদস্য প্রার্থী ইসহাকের পক্ষে কাজ করেন। নির্বাচনী প্রচারণার সময় অপর ইউপি সদস্য প্রার্থী সাইদুল হকের নেতাকর্মীদের সঙ্গে রমজানের বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার রেশ ধরে গত ১৬ জুন রাতে ইছানগর গ্রামে রমজান আলীর ওপর অতর্কিতভাবে হামলা করে। হামলার সময় টিপছোরা দিয়ে তার শরীরের পেছনে ছুরিকাঘাত করে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত আসামিরা সবাই বেকার। বিভিন্ন সময় এরা এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে আসলেও কোনো মামলা নেই। এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারেষ্টা চলছে। তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হলে আরও তথ্য বেরিয়ে আসবে। # ১৯.০৬.২০২২ চট্টগ্রাম #