চলমান সংবাদ

চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সম্মেলন তীব্র যানজট, চরম ভোগান্তি

চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সম্মেলনকে ঘিরে নগরজুড়ে তীব্র যানজটে নগরবাসীতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। নগরের পাঁচলাইশের কিং অব চিটাগাং কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সোমবার (৩০ মে) ভোর ৬টা থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় প্রবর্তক মোড় থেকে পাঁচলাইশ থানা এলাকা পর্যন্ত প্রধান সড়কগুলো। সড়ক বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় রোগীদের হেঁটে হেঁটে হাসপাতাল ও ডায়াগণস্টিক সেন্টারে যেতে দেখা যায়। অন্যদিকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সম্মেলনস্থলে আসা বাস-ট্রাকের কারণে এবং সড়ক বন্ধ থাকায় নগরজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। নগরীর প্রবর্তক ও পাঁচলইশ সড়কে বিশটিরও অধিক বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। যেখানে প্রতিদিন শত শত রোগী দূর-দূরান্ত থেকে আসেন। সম্মেলন উপলক্ষে পাঁচলাইশ-প্রবর্তকের প্রায় এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে প্রধান সড়ক ছাড়াও আশপাশের আবাসিক এলাকাগুলোর প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া বাঁশের প্রতিবন্ধকতা দেওয়া হয়েছে সুগন্ধা আবাসিক এলাকার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতেও। এতে ভোগান্তিতে পড়েন এসব সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীরা। পাঁচলাইশ থানা মোড় হয়ে রিকশা, অটোরিকশা আর ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়াও বেশ কিছু গণপরিবহন নিউমার্কেট মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় যায়। এখন সড়কটি বন্ধ থাকায় বিকল্প সড়ক দিয়ে গাড়িগুলো চলছে। এতে আশপাশের সড়কগুলোতে বেড়েছে গাড়ির চাপ। পাঁচলাইশ-প্রবর্তক সড়ক বন্ধ করে দেওয়ায় যানবাহনের চাপ বাড়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন কে বি ফজলুল কাদের সড়ক, প্রবর্তক ২ নম্বর গেইট সড়ক, গোলাপাহাড় ও জিইসি মোড়ের সড়কগুলোতে। ব্যস্ততম এসব সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। ওই সড়কে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গাড়ি ছাড়াই হেঁটে যেতে দেখা যায় একাধিক রোগী ও স্বজনদের। শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে রোগী নিয়ে আসা মোমিনুর রহমান বলেন, প্রবর্তক মোড়ে পুলিশ ব্যারিকেডেই গাড়ি থেকে নেমে যেতে হয়। এমন ভোগান্তি জানলে এখানে পরীক্ষা করাতে আসতাম না। এখন চিন্তায় আছি বাসায় ফিরবো কিভাবে। একে তো গাড়ি নেই, তার ওপর আশেপাশের সব সড়কে যানজট। অসুস্থ বাবাকে নিয়ে সিএনজি অটোরিকশা করে নগরীর দেওয়ানহাট থেকে শেভরন ডায়াগনিস্টিক সেন্টারে আসছিলেন রবিউল ইসলাম। কিন্তু প্রবর্তক মোড়ে আসতেই দেখেন সড়কের ওপর ব্যারিকেড। বাধ্য হয়ে গাড়ি থেকে নেমে অসুস্থ বাবাকে কোনরকমে ধরাধরি করে নিয়ে যান শেভরনে। রবিউল বলেন, একটি সংগঠনের জন্য কি এভাবে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ করে দেওয়া যায় ? যারা বন্ধ করেছে তারা কি ভাবেনি এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা মানুষের বেশিরভাগই রোগী। সড়ক বন্ধের বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ-সিএমপি’র অতিরিক্ত উপকমিশনার আরফাতুল ইসলাম বলেন, সম্মেলন উপলক্ষে প্রবর্তক থেকে পাঁচলাইশ থানা পর্যন্ত সড়কটি বন্ধ রয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে এই ব্যবস্থা। সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকলেও রোগীদের গাড়ি প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখালেই হবে। তবে আশপাশের সড়কগুলো সচল আছে। তিনি বলেন, যানজট এড়াতে আমাদের ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা নিয়োজিত ছিলেন সার্বক্ষণিক। কোনো বিশৃঙ্খলা যাতে সৃষ্টি না হয় সেজন্য দু’ শ পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিল। # ৩০.০৫.২০২২ চট্টগ্রাম #