চলমান সংবাদ

চট্টগ্রামের বাজার-গুদাম যেন সয়াবিন তেলের খনি !

-প্রতিদিনই অভিযানে হাজার হাজার লিটার তেল উদ্ধার

চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজার-গুদাম যেন সয়াবিন তেলের খনি ! প্রতিদিনই অভিযান চালিয়ে বাজার-গুদাম থেকে হাজার হাজার লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করছে প্রশাসন। জরিমানা করা হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এরপরও তেল মজুদের খনি যেন শেষই হচ্ছে না। বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির লক্ষ্যে অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট অবৈধভাবে সয়াবিন তেল মজুদ করে রেখেছে জানায় প্রশাসন। অতিরিক্ত মুনাফা করতে আগের কেনা তেল নতুন দরে বিক্রির উদ্দেশ্যে ভোজ্যতেল সয়াবিন দোকানে-গুদামে অবৈধভাবে মজুদ করে রাখছে এই সিন্ডিকেট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেরিতে হলেও চট্টগ্রামে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। গত কয়েকদিনে অবৈধভাবে মজুদ করে রাখা প্রায় অর্ধ লক্ষ লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করেছে প্রশাসন। রোববার (১৫ মে) দুপুরে ভোক্তা অধিকার ও র‌্যাবের পৃথক অভিযানে দুটি দোকানের গুদাম থেকে ১২ হাজার ২৪০ লিটার সয়াবিন ও পামতেল উদ্ধার করা হয়েছে। বাজারে তেলের সংকটের মধ্যে এসব দোকানদার বোতলজাত সয়াবিনগুলো বিক্রি না করে গুদামে তালাবদ্ধ করে রেখেছিল বলে জানিয়েছেন অধিদফতরের কর্মকর্তারা। আগের দামে কেনা সয়াবিন ও পামতেল নতুন দরে বিক্রি করার জন্যই মজুদ করা হয়। নগরের সল্টগোলার ঈশান মিস্ত্রীর বাজারে মেসার্স আসাদ বাণিজ্যালয়কে আড়াই লাখ টাকা ও ইপিজেড মাইলের মাথার মেসার্স বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। র‌্যাব ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যৌথভাবে অভিযানটি পরিচালনা করে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. দিদার হোসেন বলেন, দোকান মালিক মো. ইলিয়াস হোসেন আগের কেনা অর্থাৎ ১৩৩ টাকায় সয়াবিন ও ১২৭ টাকায় পামতেল নতুন দরে বিক্রি করছিল। পাশাপাশি আমরা দোকানের গোডাউন থেকে ৬ হাজার ১২০ লিটার সয়াবিন ও পামতেল উদ্ধার করেছি। তাই দোকান মালিককে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি আগের দরেই তেল বিক্রি করবেন এই মর্মে লিখিত অঙ্গীকার করেন। অন্যদিকে ইপিজেড মাইলের মাথায় আরেকটি অভিযানে দোকানের মালিক আগের কেনা তেল নতুন দরে বিক্রি করায় তাকেও আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া দোকানের গোডাউন থেকে ৬ হাজার লিটার তেল জব্দ করা হয়। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাব’র কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, বাজারে সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির লক্ষ্যে অবৈধভাবে সয়াবিন তেল মজুদ করে রেখেছে অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। বাজারে চলমান এই সংকট, আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা যোগসাজশ করে কৃত্রিমভাবে তৈরি করেছে। সাধারণ ভোক্তাকে জিম্মি করে মুনাফা লুটেছে এই অসাধু সিন্ডিকেট। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আনিছুর রহমান বলেন, বাজার পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে এসব তেল মজুদ করে রাখা হয়। সরকারিভাবে সয়াবিন তেলের নতুন দর নির্ধারণের দুই-তিনদিন আগে জব্দ করা এসব তেল কিনে গুদামজাত করা হয়েছিল বলে অভিযুক্ত দোকানি স্বীকার করেছেন। আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালাচ্ছি এবং তেল মজুদের বিষয়টিও বারংবার প্রমাণিত হচ্ছে। আমরা এ ব্যাপারে আরো কঠোর হবো, আমাদের অভিযান আরো জোরদার করব। # ১৫.০৫.২০২২ চট্টগ্রাম #