মতামত

২৮ মার্চ বামপন্থী হরতাল নিয়ে কিছু কথা

– অপু সারোয়ার

হরতাল

২৮ মার্চ ২০২২ বামপন্থী দল গুলির হরতাল ছিল । বামপন্থীদের  দাবিগুলো  জ্বলন্ত সমস্যা।  এসব দাবির প্রতি জনগণের সমর্থন আছে । হরতাল পালন কতটুকু সফল হয়েছে সেই বিতর্কের চেয়ে বড় বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছেছে জিনিস পত্রের দাম মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশি হামলার সংবাদ বিভিন্ন ভাবে প্রচারিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠিত সংবাদ মাধ্যম গুলিতেও বেশ কিছু সংবাদ এসেছে।  বাম দলগুলো ছোট। সাংগঠনিক শক্তি কম। হরতালের সর্মথনে বামপন্থীদের শান্তি পূর্ণ অবস্থান ছিল। শাসক শ্রেণী  সীমিত শক্তির বামপন্থীদের শক্তি দিয়ে দমন করেছে।  দেশের বিভিন্ন জায়গায় কিছু রাজনৈতিক কর্মীদের গ্রেফতার  হয়েছে। এসব কিছুই হরতাল কর্মসূচীর সফলতাকে সামনে নিয়ে আসে। হরতাল  নিয়ে শাসক শ্রেণীর প্রতিক্রিয়া চোখে  পড়ার মত। নিত্য পণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধ গ্যাসবিদ্যুৎপানির দাম বাড়ানোর তৎপরতা বন্ধের দাবিতে দেশব্যাপী বাম গণতান্ত্রিক জোটের অর্ধবেলা হরতাল নিয়ে রসিকতাই করলেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক তাঁর ভাষ্য, ‘ভুঁইফোড়রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকা এই হরতাল জনজীবনে কোনো প্রভাব পড়েনি তারা হেফাজতে ইসলামের মতোও হরতাল জমাতে পারেনি ” – ( প্রথম আলো  ২৯ মার্চ ২০২২) শাসক শ্রেণী সত্য অবদমন করতে সব সময়ে সক্রিয়। সত্য অবদমনের চেষ্টার পরেও শাসক শ্রেণীকে সত্য মোকাবেলা করতে হয় বা করে যেতে হবে।

বামপন্থার ভাঙ্গনী কূল

২৮ মার্চ ২০২২ এর হরতাল ডাক দিয়েছে বামফ্রন্ট ও সমর্থন দিয়েছে জোটের বাইরে আরো ৯ টি বাম সংগঠন। সব মিলিয়ে প্রায় এক কুড়ি সংগঠন। অপ্রিয় সত্য এই সংগঠন গুলির মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও অধিকাংশের সাংগঠনিক ভিত্তি অতি দুর্বল। সংখ্যা তত্বে এক কুড়ি বেশ বড় সংখ্যা। তবে এক কুড়ির পিছনের ইতিহাস ঝগড়া প্রিয়তা।

বাসদ , বাসদ – মার্ক্সবাদী , সাম্যবাদী আন্দোলন ও বাসদ – গণ ইশতেহার গ্রুপ ১৯৮০ সালে একই দল ছিল। কালস্রোতে চারটি পৃথক দল।  বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি , গণ মুক্তি ইউনিয়ন , জাতীয় গণফ্রন্ট, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, ওয়ার্কার্স পার্টি – মার্ক্সবাদী এই দল গুলি ১৯৯০/১৯৯১ সালের ওয়ার্কার্স পার্টিতে ছিল। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি হচ্ছে ১৯৭০ এর দশকে বহুধা বিভক্ত চীন পন্থী কমিউনিস্ট পার্টি / গ্ৰুপ গুলির একীভূত রূপ। জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল ও গণ সংহতি আন্দোলন একই দল ছিল। ১৯৯০ এর দশকে মুক্তি কাউন্সিল ও গণ সংহতি ভিন্ন পথের যাত্রী হয়ে পড়ে। প্রসঙ্গত  বামপন্থী হিসেবে পরিচিত দল গুলির মধ্যে গণসংহতি আন্দোলন অন্য দল গুলি যে অর্থে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনে  আস্থাশীল,  সেই পথের পথিক নয়। গণতান্ত্রিক গণমঞ্চ ,  বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টি, নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা , বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন এই দল গুলির আদর্শিক উৎস বা অনুপ্রেণার আশ্রয় স্থল সিরাজ সিকদারের পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি। প্রতিকূলতার মধ্যে দলের পতাকা ধরে রাখা যতটুকু কঠিন ও অনুসরণীয় কাজ ঠিক ভাঙ্গন প্রবণতা ততটুকু ক্ষতিকারক।

অতীতের শিক্ষা

২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে সিপিবি’র সমাবেশে বোমা হামলা করেছিল  ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠী। এর প্রতিবাদে ফেব্রুয়ারির ২০০১  হরতাল ডাকে তখনকার ১১ দল। ১১ দল ছিল রংধনু জোট।  তৎকালীন বামফ্রন্ট  ভিত্তির  উপরে দাঁড়িয়ে গণ ফোরাম, গণআজাদী লীগ সহ কয়েকটি দল মিলে ১১ দল হয়েছিল। ১১  দলের রাজনীতির কোন স্পষ্ট দিশা ছিল না। বামপন্থী ও গণফোরাম জাতীয় দলের ঐক্যের ভিত্তিতে দীর্ঘমেয়াদী রাজনৌতিক  নির্ধারণ সম্ভব হলেও তা বামপন্থা থাকে না। হয়ে পড়ে বারো ভাজা। সেই সময় ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ সাথে ছিল জাসদ। আ স ম আব্দুর রব সেই সময় মন্ত্রী ছিলেন।  তখনও বিরোধীদের ওপর ছিল ব্যাপক দমনপীড়ন। ১১ দলের  হরতালে মানুষের সমর্থন  ছিল ব্যাপক। ১১ দলীয় জোটের শক্তি সামর্থ তেমন জোরালো ছিল না।  মানুষের  সমর্থনের ও নেতাকর্মীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সেই দিনের  হরতাল সফল হয়েছিল। আন্দোলন দানা বাধার সম্ভবনা তৈরী হয়েছিল। তৎকালীন  ১১ দল শুধু বোমা হামলার প্রতিবাদ করেছিল।  সরকারের বিরুদ্ধে আর কোনো কর্মসূচি ছিল না। যেকোন রাজনৈতিক সংগ্রামের প্রধান লক্ষবস্তু ক্ষমতাসীন সরকার। হরতাল ও মৌলবাদী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ১১ দলের লাগাতার প্রচারণায় সরকারী দমন পীড়নের বিরুদ্ধে জন অসন্তোষ দানা বেঁধেছিল। ১১ দলীয় জোটের সাংগঠনিক সীমাবদ্ধতা ও সরকার বিরোধী স্পষ্ট কর্মসূচীর অভাবে আন্দোলনের ফসল   বিএনপি এর গোলায় উঠেছিল। ২০০১ সালের ১১ দলের হরতালের পরে প্রায় ২২ বছর পর বামপন্থীদের হরতাল। জোট গত ভাবে ১১ দলের তুলনায় অনেক বেশি বামপন্থার দল এই হরতালের সাথে যুক্ত। হরতালেও মানুষের সমর্থন ছিল।  হরতালের পরবর্তীতে বামপন্থীদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক গতিপথকে নির্দেশ করবে।

ভোজসভা

বৃহত্তর বাম ঐক্য গড়ে তোলার উগ্যোগ শিরোনামে দৈনিক যুগান্তরে ১৩ মার্চ ২০২২ একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। শিরোনামটি আশা ব্যাঞ্জক তবে খবরের ভিতরের অংশ তেমন বামপন্থা মূলক নয়। দৈনিক যুগান্তর জানাচ্ছে – ” বাসদের সদস্য সমাপ্ত কংগ্রেসের পর অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় ও রাতে একসঙ্গে নৈশভোজের নামে এই মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়। তবে নেপথ্যে চলমান রাজনৈতিক সংকটে থেকে উত্তরণ ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে বিদ্যমান বাম প্রগতিশীল ঘরানার দলগুলো বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলাই ছিল মূল আলোচনার বিষয়।” এই ভোজ সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ সরকারের সহযোগী বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি, সাম্যবাদী দলের (এমএল) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া ও বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া । এই ভোজ সভার দুই দিন পরে গ্ৰুপের নেতাদেরকে বঙ্গভবনে শেখ হাসিনার সাথে নৈশ ভোজে দেখা যায়।  ( দৈনিক যুগান্তর ১৫ মার্চ ২০২২ ) । বাজাসদ সংবাদপত্রে বিবৃতি দিয়ে ১৪ দলীয় জোটকে   ‘মৃত ‘ ঘোষণা করে তিন বছর পর প্রথম প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক বয়কট করেছে। ( দৈনিক জনকণ্ঠ ১৫ মার্চ ২০২২ ) হরতালের ২ সপ্তাহ আগে ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারের শরিকদের সাথে ভোজ  রাজনৈতিক ভোজবাজির অংশ না হওয়ায় প্রত্যাশা নিয়ে সময়ের হাতে বিষয়টি ছেড়ে দিতে হবে।

বাসদের নৈশ ভোজে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের একাংশের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, গণফোরামের আরেক অংশের কেন্দ্রীয় নেতা মোশতাক আহমেদ প্রমুখ । বাংলাদেশের ক্ষমতার রাজনীতিতে আওয়ামী বিএনপি রেষারেষিতে এই অংশ বিএনপি জোটে না থেকেও বিএনপির কাছাকাছি । দৈনিক যুগান্তরের প্রতিবেদনকে উড়ো সংবাদ হিসাবে উড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। তবে এই ‘ উড়ো ‘ সংবাদের ভিত্তি কিন্তু রাতের ভোজ সভা! বছর দেড়েক পরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনের আগে সচরাচর ঐক্যে- বিভেদের রাজনৈতিক কৌশলের গোল্লাছুট খেলা হিসেবে দেখার সুযোগ রয়েছে। বৃহত্তর বাম ঐক্য হোক বা না হোক এই জাতীয় সংবাদ প্রকৃত পক্ষে বামপন্থী রাজনীতির জন্য সুখকর নয়। যদি যুগান্তর রিপোর্ট ভিত্তিক বা এর কাছাকাছি জাতীয় কথিত বৃহত্তর বাম ঐক্য হয় সেটা হবে পুরনো ১১ দলের ২০২২/২৩ এর নতুন সংস্করণ। নতুন রংধনু জোট বামপন্থা থেকে যোজন দূরের রাজনীতি।  পত্রিকায়  প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায় বাসদের রাতের ভোজে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি – সিপিবি অংশ নেওয়া থেকে বিরত থেকেছে।

বামপন্থা বিএনপিআওয়ামীলীগ

২৮ মার্চ আধা বেলা হরতালের ডাক দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রর ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। দ্রব্যমূল্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এই হরতাল কর্মসূচি দেন এনজিও লর্ড ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। (দৈনিক প্রথম আলো ১২ মার্চ ২০২২) । বামপন্থীদের হরতালের প্রতি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সমর্থন সংবাদ মাধমের উপস্থাপনায় হয়ে দাঁড়িয়েছে হরতালের ডাক দিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিএনপির কোন পদ পদবী থাকা না থাকার বিষয় নয়, তিনি বিএনপির মানুষ হিসাবে সাধারনের কাছে পরিচিত। হরতালের মাত্র তিন দিন আগে জাফরুল্লাহ চৌধুরী যুক্তরাজ্য পাড়ি জমিয়েছেন। বিদেশ ভ্রমন জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্য নতুন কোন বিষয় নয়। তবে হরতাল ডাক দিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ‘ভাগলপুরের’ উদ্দেশ্যে যাত্রাকে রাজনৈতিক প্রশ্নকে সামনে নিয়ে আসে।

জেনারেল এরশাদ সামরিক  বিরোধী আন্দোলন ছিল  ১৯৮২-১৯৯০ এর মধ্যবর্তী কালীন সময়ে। এই সময়ে বামপন্থীরা সম্মিলিত ভাবে ভাল ভূমিকা রেখেছে। যার যেখানে শক্তি সেই শক্তি নিয়েই আন্দোলনের সামিল হয়েছিল। বামপন্থীদের  উপর জেল জুলুম নির্যাতন হয়েছে অনেক। ১৯৮৬ সালের পর বামপন্থিদের উদ্যোগে ৫ দলীয় জোট হয়েছিল। এই ৫ দলীয় জোট আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে রাজনৈতিক সমঝোতার কাজ করেছে । সমঝোতার কাজটি ৫ দল বেশ সফলতার সাথে করেছে। এই কাজ করতে যেয়ে ৫ দলীয় জোটের নিজেস্ব রাজনীতি কখনো দাঁড় করাতে পারে নাই। বামপন্থীদের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে উঠতে পারে নাই। বামপন্থীদের অসফলতা সামনে আসে ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে কোন আসন না পাওয়ার মধ্য দিয়ে। এর পরপরই সোভিয়েত ইউনিয়নের কলঙ্কজনক পতনের ঢেউ বামপন্থী দলে কর্মীদের মনোবলকে মারাত্মক ভাবে আঘাত করে। ধসে পরে প্রায় সব দল। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে বিএনপির পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামী কর্মসূচী নিয়ে হাজির হয়েছিল। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের স্বার্থে বামপন্থীরা জোরালো ভাবে ধর্মীয় মৌলবাদ নিয়ে কথা বলা থেকে বিরত থাকে। ধর্মীয় রাজনীতির বিকাশ ঘটে। এরশাদ আমলে রাষ্ট্রীয় মদদে রাজশাহী , সিলেট , চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন অঞ্চলে জামাত-শিবিরের  গুম- খুন সন্ত্রাসের প্রধান শিকার হয়েছিল বামপন্থী শক্তিই । ১৯৮২-১৯৯০ এর সময় কালে জামাত – শিবির একদিকে সামরিক শাসনের মদদে শিক্ষাঙ্গণে সন্ত্রাস করছে। অপর দিকে বিএনপির সহায়তায় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ৮ দলীয় জোট ( আওয়ামীলীগ – সিপিবি , ন্যাপ সহ অন্যান্য দল ) ৭ দলীয় জোট ( বিএনপি, ইউপিপি ,কমিউনিস্ট লীগ সহ   অন্যান্য দল ) ও ৫ দলীয় জোটের কর্মসূচিকে সমর্থন করে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হচ্ছিল। ২৮ মার্চ ২০২২ এর হরতালে ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধরীর হরতাল সমর্থনের কায়দা জামাত-শিবিরের ১৯৮২-১৯৯০ সালের কায়দার মিল খুঁজে পাওয়া যায়। পার্থক্য ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধরীর সমর্থনে মিছিল মিটিং করার কেউ নেই। জামাত-শিবিরের সর্মথনে মিছিল মিটিং হয়েছিল। সে তৎকালীন সময়ে আন্দোলনের বিভিন্ন শক্তির রাজনৈতিক দৃষ্টি ভঙ্গি ও প্রতিক্রিশীল চরিত্র সামনে নিয়ে আসা  ছিল সীমাবদ্ধতা ও  ঐতিহাসিক ভাবে ভুল। ১৯৯০ সাল পরবর্তীতে তিন দশক পার হয়েছে।  বামপন্থী আন্দোলন প্রায়োগিক ও দার্শনিক সংকটের মুখোমুখী। এই সংকট কালে কেউ দূর থেকে  সমর্থন দিলেও সেই ব্যাক্তি বা গ্রুপ সম্পর্কে বামপন্থীদের মতামত স্পষ্ট না করা অতীতের ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে।

বামফ্রন্ট

১ । সিপিবি ২ । বাসদ ৩ । বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ৪ । বাসদ – মার্ক্সবাদী ৫ । ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ ৬ । ওয়ার্কার্স পার্টি – মার্ক্সবাদী ৭ । গণ সংহতি আন্দোলন ৮ । সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন ৯। গণ বিপ্লবী পার্টি

দল বাম

১ । জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল ২। বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন ৩ । জাতীয় গণফ্রন্ট ৪ ।গণমুক্তি ইউনিয়ন ৫ । বাসদ – নয়া ইশতেহার গ্ৰুপ (মাহবুব) ৬ । গণতান্ত্রিক গণমঞ্চ ৭ । নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা ৮ । বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টি ৯ । কমিউনিস্ট ইউনিয়ন ।

 

অপু সারোয়ার: লেখক