চলমান সংবাদ

চট্টগ্রামে ওয়ার্ড কার্যালয়ে ভয়াবহ আগুন মশক নিধনে সরঞ্জাম, কম্পিউটার-নথি পুড়ে ছাই

নগরীর  জামালখান ওয়ার্ড কার্যালয় ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ২১নং জামালখান ওয়ার্ড কার্যালয়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৬ মার্চ) রাত সোয়া ১১টায় ওয়ার্ড কার্যালয়ের চতুর্থ তলার অনলাইন অফিস এবং মশক নিধন কার্যক্রমের স্টোর রুমে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এদিকে ভয়াবহ আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ ওয়ার্ড কার্যালয় পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। পরিদর্শনকালে তিনি ভবনের ও অফিসের মালামাল কতটুকু ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তা দেখেন। মেয়র ক্ষতিগ্রস্থ ভবনের দেয়ালসমূহ ভেঙে নতুন করে নির্মাণ ও বৈদ্যুতিক লাইনের পুনস্থাপন করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ প্রদান করেন। এসময় তিনি বলেন, শুষ্ক মৌসুমে অগ্নিকান্ডের ঘটনা একটু বেশি হয়ে থাকে। এজন্য এবিষয়ে সচেতন থাকতে তিনি সবার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এসময় মেয়রের সাথে ছিলেন প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন, কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, আবদুস সালাম মাসুমসহ প্রকৌশল ও পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে আগুন লাগার প্রায় ৪৫ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর কারণে আগুনে ওই স্টোরের সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে অভিযোগ মার্কেটের ভাড়াটিয়াদের। চতুর্থ তলার যে রুম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তখন সেই রুমে ছিলেন ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্ন তত্ত্বাবধায়ক রিপন কিশোর রায় এবং পিয়ন মো. নয়ন মিয়া। তারা আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। রিপন কিশোর রায়ের পড়নের প্যান্টেও আগুন লেগে যায়। তিনি দ্রুত প্যান্ট খুলে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে যান। এ সময় তিনি সামান্য আহত হন। পিয়ন মো. নয়ন মিয়া নামতে পারেননি। ওই কক্ষে দাহ্য পদার্থ থাকায় দ্রুত আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় নয়ন মিয়া সামনের বারান্দায় এসে তাকে বাঁচানোর জন্য চিৎকার করতে থাকেন। পরে স্থানীয়রা তাকে বাঁচানোর জন্য উপরে রশি ছুঁড়ে দেয়। নয়ন ভবনের পেছনে গ্রিলের সঙ্গে রশি বেঁধে নিচে নেমে আসেন। জামালখান ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্ন তত্ত্বাবধায়ক রিপন কিশোর রায় জানান, মশক নিধন কার্যক্রমের ফগার মেশিন এবং মেশিনের তেলসহ ক্যামিকেল যে রুমে ছিল সেই রুমেই বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনে ওয়ার্ড কার্যালয়ের অনলাইন অফিসের কম্পিউটারসহ সকল আসবাবপত্র এবং মশক নিধন কার্যক্রমের ফগার মেশিনসহ অফিসের অন্যান্য সকল সামগ্রী পুড়ে গেছে। ভবনের নিচে এআর মেডিকেল হলের মালিক মো. আবদুর রাজ্জাক জানান, আগুন লাগার প্রায় ৪৫ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। ঠিক সময়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসলে অফিসের এতো মূল্যবান জিনিসপত্র নষ্ট হতো না। আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক ফরিদ আহমদ বলেন, চেরাগী পাহাড় চসিকের ২১ নম্বর জামালখান কাউন্সিলর অফিসে আগুনের সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের নন্দনকানন এবং চন্দনপুরার দুটি ইউনিট থেকে তিনটি গাড়ি এসে আধাঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে কোন হতাহত হয়নি। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে
# ০৭/০৩/২০২২, চট্টগ্রাম #