চলমান সংবাদ

প্রগতির যাত্রী ও হারুণ স্মৃতি পাঠচক্র আয়োজিত অনলাইন সভায় বক্তারা

– ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী ছিল ‘৯০ এর গণঅভ্যুথানের উৎসমূল।

৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের হত্যাকান্ডের পর দেশের রাজনৈতিক পরিমন্ডলে যে অন্ধকার নেমে আসে, সেই অন্ধকার আর অচলায়তন ভেঙ্গে গণমানুষের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষে এক নতুন ভোরের সূচনা করে জাফর-জয়নাল-দীপালী সাহা-মোজাম্মেলসহ আরো অনেকের তাজা রক্তের বিনিময়ে ‘৮৩ এর মধ্য ফেব্রুয়ারীর ছাত্র-জনতার আন্দোলন। শিক্ষা সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা আন্দোলনে ছাত্রদের অসীম সাহসিকতা সেদিন স্বৈরাচার বিরোধী রাজনীতিতে নতুন জোয়ার এনেছিল, যার চূড়ান্ত ফসল হচ্ছে ‘৯০ এর গণ-আন্দোলন। সেদিন তারা প্রমাণ করেছিল, তারুণ্যের শক্তিকে বেঁধে রাখা যায়না। তারা বলেছিলো, আসছে ফাগুনে দ্বিগুন হবো। কেবল দ্বিগুন নয়, বহুগুনে বেড়ে ওঠা ছাত্রদের আন্দোলন ‘৮৩ এর ১৪ জানুয়ারী স্বৈরাচারী এরশাদের ভিত কাপিয়ে দেয়। রাজনৈতিক নেতৃত্বকেও আরো সংগঠিত হতে অনুপ্রাণিত করে।

বক্তারা কথাগুলো বলছিলেন, প্রগতির যাত্রী ও হারুণ স্মৃতি পাঠচক্র আয়োজিত “৮৩ এর স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনঃ ফিরে দেখা” শীর্ষক অনলাইন আলোচনায়।

প্রগতির যাত্রী ডট কম-এর প্রধান সম্পাদক উৎপল দত্তের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্হিত ছিলেন “৮৩ এর ছাত্র আন্দোলনের দুই ছাত্রনেতা ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল হক ও সাবেক ছাত্রনেতা ও সিপিবি চট্রগ্রাম জেলা সভাপতি কমরেড অশোক সাহা। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন হারুণ স্মৃতি পাঠচক্রের প্রধান সংগঠক  মোরশেদুল হাকিম শুভ্র।

বক্তারা আরো বলেন, সেদিন যে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ছাত্ররা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল, তা আজো অধরাই রয়ে গেছে। গণতন্ত্রের জন্য, কথা বলার স্বাধীনতার জন্য আজো লড়াই করতে হয়! গণতন্ত্র আর মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে ছাত্র  সংগঠনগুলোকে  নতুন করে শক্তি অর্জন করতে। এজন্য ‘৫২ এর অসাম্প্রদায়িক ছাত্র সংগঠন ছাত্র ইউনিয়নকে অতীতের মত শক্তিশালী করার জন্য সকল প্রগতিশীল মানুষদের  নিজ নিজ অবস্হান থেকে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়। রাজনৈতিকদের উদ্দেশ্যে বলা হয়, ছাত্রদের কথা বলতে দিতে হবে, তাদের কথা শুনতে হবে। তবেই ছাত্র-জনতার সন্মিলিত প্রয়াসে বাম ও প্রগতিশীল রাজনীতিতে নতুন প্রাণ, নতুন জোয়ার আসবে।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সিপিবি চট্টগ্রাম জেলা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মুহম্মদ জাহাঙ্গীর, মস্কো থেকে প্রবাসী বিজ্ঞানী ডঃ বিজন সাহা, সোভিয়েত এলামনাই এসেসিয়্শনের সাধারণ সম্পাদক ডঃ জয়নাল আবেদীন, সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার হোসেন বকুল,নেত্রকোনা উদীচির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমাল, বরিশাল জেলা ছাত্র ইউনিয়ন সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন বাচ্চু,  কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ সভাপতি আসীম দাশ, বরিশাল জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক নেতা হীরন দাশ, যুক্তরাষ্ট্র প্রগ্রেসিভ ফোরাম এর নেতা রফিকুল ইসলাম সহ অন্যান্যরা।

# ১৪/০২/২০২২, প্রেস বিজ্ঞপ্তি #