চলমান সংবাদ

ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা, প্রতিদিন বাড়ছে শনাক্ত

স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে না চলা, সামাজিক দুরত্বের বালাই না থাকায় চট্টগ্রামে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। চলতি মাসে হঠাৎ করেই প্রতিদিনই বাড়ছে শনাক্তের সংখ্যা। চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘন্টা নতুন করে ৫৩ জনের শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে। এর আগে দিন নমুনা পরীক্ষা করে শনাক্ত হয়েছিল ৩৫ জনের। বুধবার সকালে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠনো করোনা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানান হয়। তাদের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১ হাজার ৫৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে করোনা শনাক্ত হয় ৫৩ জনের। যাদের মধ্যে ৪৯ জন নগরীর এবং উপজেলার ৪ জন। সংক্রমণ হার ৩ দশমিক ৩৫। এর আগে মঙ্গলবার ১ হাজার ১৭৫টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয় ৩৫ জনের। যাদের মধ্যে নগরীর ৩৩ জন এবং উপজেলার ২ জন। গত ২ জানুয়ারি শনাক্ত হয় ২৩, ১ জানুয়ারি ১৬। চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থবিধি উপেক্ষা, মাস্ক পরিধান না করা এবং সামাজিক দুরত্ব রক্ষা না হওয়ায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলার সাবেক সিভিল সার্জন মুক্তিযোদ্ধা ডা. সরফরাজ খান বাবুল বলেন, দৈনিক শনাক্তের হার বাড়ছে। এ অবস্থায় সবাইকে নতুন করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর জোর দিতে হবে। মাস্ক পড়ার পাশাপাশি আমাদের ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। ওমিক্রমণ খুব বেশি সংক্রামক। তাই অবশ্যই এই ভ্যারিয়েন্ট থেকে রক্ষা পেতে চট্টগ্রামবাসীকে স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে। সামাজিক অনুষ্ঠানগুলো এখন পরিহার করা উচিত। চট্টগ্রামে গত অক্টোবরের পর কমে যায় শনাক্তের হার। তবে চলতি মাসে ফের বাড়তে থাকে পজেটিভ রোগীর সংখ্যা। বিশ^ মহামারীর এই প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে বেশ কয়েকটি দেশে কঠোর বিধিনিষেধ ও লকডাউন জারি করলেও বাংলাদেশে আপাতত সেই ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে কঠোর বিধি নিষেধের দিকে হাঁটতে পারে বলে এমন ইঙ্গিত মিলেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে। বিধিনিষেধের আওতায় আবারও অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন ও পরিস্থিতি আওতার বাইরে চলে গেলে তখন লকডাউনের চিন্তা ভাবনা করছে সরকার। কিন্তু এসব ধাপ পার হওয়ার আগে যদি সকলেই সচেতন হয়, তাহলে স্বাস্থ্য পরিস্থিতির অবনতি হবে না। এদিকে স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য নিজেকে আগে সুরক্ষিত রাখতে হবে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। নিজে সুরক্ষিত থাকলে পরিবার ও সমাজ সুরক্ষিত থাকবে। এ বিষয়ে অবহেলা করলে পরিস্থিতি তখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে না। বয়স্ক ও শিশুদের জ¦র সর্দি ও শ^াসকষ্ট হলে অবহেলা না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
# ০৫.০১.২০২২ চট্টগ্রাম #