চলমান সংবাদ

চট্টগ্রামে হোটেলে আটকে রেখে কলেজছাত্রী শ্লীলতাহানির চেষ্টা,সাবেক ওসি মিজানুর রহমানের জামিন বাতিল

চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত কলেজছাত্রীকে হোটেল কক্ষে আটকে রেখে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী পুলিশের সাবেক ওসি জিএম মিজানুর রহমানের জামিন বাতিল করে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। আজ রবিবার বিকালে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল- ৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরার আদালত তার জামিন বাতিল করেন। আসামী পক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান ফারুক পাঠক ডট নিউজকে জামিন বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামী বার বার আদালতে গড় হাজির থাকার করণে আদালত তার জামিন বাতিল করে আদালত।
উল্লেখ্য ২০১১ সালের ১২ জুলাই নগরীর ফয়’স লেক এলাকা থেকে ইস্পাহানি স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রী ও তার বন্ধুকে তুলে নিয়ে ঘুরতে গেলে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার তৎকালীন ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে গাড়িতে তুলে নগরীর চকবাজারে একটি হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে ছেলে মেয়ে দুজনকে আলাদা কক্ষে আটকে রেখে মেয়েটিকে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করলে মেয়েটি বাথরুমের কাঁচ ভেঙ্গে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। পরে হোটেলের লোকজন তাকে উদ্ধার করে।।
এ ঘটনায় ওই বছরের ১৬ জুলাই মেয়েটির বাবা হুমায়ন কবির বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় ওসি মিজান সহ তিনজনকে আসামী করে দু`টি মামলা দায়ের করেন। বাকি দু’আসামী হোটেলের কর্মচারী।
ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার জানান, হুমায়ন কবিরের দায়ের করা দু`টি মামলার মধ্যে একটি ছিল নারী নির্যাতন দমন আইনের ৭/৯ (৪)-খ ধারায়। আরেকটি মামলা ছিল, জোরপূর্বক মেয়েটিকে তুলে নিয়ে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করানোর অভিযোগে দন্ডবিধির ৪২০, ১৭০ ও ৩৮৬ ধারায় দায়ের করা।
প্রথম মামলায় ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে ওসি মিজান সহ তিন আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ।
ঘটনার পর প্রায় সাড়ে তিনমাস পলাতক থাকা ওসি মিজানুর রহমান ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে হাজির হলে বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠান। হাইকোর্টের আদেশে ২০১২ সালের জুলাই মাসে তিনি জামিনে মুক্তি পান। ওসি মিজানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠার পরই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।