চলমান সংবাদ

বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা মা-শিশু হাসপাতালের নিচতলা প্লাবিত

টানা দুইদিনের মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণে চট্টগ্রামের নিচু এলাকাগুলোতে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে আবারও ডুবেছে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল। গতকাল রোববার দুপুরের দিকে এবং আগের দিন শনিবার দুপুরের পর থেকে কয়েক দফা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে হাসপাতালের নিচতলা ডুবে যায়। বৃষ্টি ছাড়াও শুষ্ক মৌসুমে জোয়ারের পানিতে হাসপাতালের নিচতলা হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায়। এ নিয়ে নানা আলোচনা হলেও এই দুর্ভোগ থেকে পরিত্রান পাওয়া যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জলবদ্ধতা নিরসণে গৃহিত মেগাপ্রকল্পের শতভাগ বাস্তবায়ন হলে এই ভোগান্তি থেকে মুক্ত হওয়া যাবে। হাসপাতালের অনুসন্ধান বিভাগের গিয়াস উদ্দিন বলেন, দুপুরের পর থেকে হাসপাতালের নিচতলায় পানি জমতে শুরু করে। সন্ধ্যা গড়াতেই নিচতলা ডুবে যায়। এতে নিচতলায় থাকা জরুরি বিভাগ তৃতীয় তলায় এবং সাধারণ শিশু ওয়ার্ড থেকে কিছু রোগীকে চতুর্থ তলায় জেনারেল ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে।’ চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের পরিচালক নুরুল হক বলেন, জোয়ার ও বৃষ্টির কারণে হাসপাতালের নিচে জলাবদ্ধতার বিষয়টি দীর্ঘদিনের পুরানো। শনিবার ও রোববারও বৃষ্টি ও জোয়ারের কারণে হাসপাতালের নিচতলায় কিছু পানি জমা হয়। তবে এতে স্বাস্থ্য সেবার কোনো সমস্যা হয়নি। তাছাড়া জলাবদ্ধতা পুরো চট্টগ্রামের সমস্যা, শুধু মা ও শিশু হাসপাতালের নয়। জলাবদ্ধতা নিরসণে বাস্তবায়নাধীন মেগাপ্রকল্পের কাজ শেষ হলে আশা করি এই সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়া যাবে। এই প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরাও একই কথা বলেছেন। টানা দুইদিনের বৃষ্টিতে রোববার সকাল থেকে বাকলিয়া, সিডিএ, হালিশহর, আগ্রাবাদ, চান্দগাঁওসহ নিচু এলাকাগুলোতে পানি জমতে শুরু করে। এতে ওই এলাকার বাসিন্দাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। এখন নগরের বিভিন্ন খাল ভরাট ও জীবিত খালগুলোতে বাঁধ থাকায় মাঝারি বৃষ্টিপাতেও কিছু কিছু জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে, বৃষ্টির মধ্যেও লকডাউনে মাঠে ছিল ভ্রাম্যমাণ আদালত। কারণ ছাড়াই যারা ঘর থেকে বেরিয়েছেন তাদের পড়তে হয়েছে জবাবদিহিতার মুখে, গুনতে হয়েছে জরিমানা। তবে ব্যাংক খোলা থাকায় বৃষ্টির মধ্যে অফিসগামীদের পড়তে হয়েছে দুর্ভোগে। চান্দগাঁও আবাসিকের সমশেরপাড়া এলাকার হুমাইরা তালুকদার বলেন, ‘এখানে একটি খাল রয়েছে। এই খালে সিডিএ’র মেগা প্রকল্পের বাঁঁ থাকায় বৃষ্টি হলেই এই এলাকায় পানি জমে যায়।’ আগ্রাবাদ এলাকার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, একে তো বৃষ্টি অন্যদিকে পূর্ণিমার জোয়ারের পানিতে এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এটি এই এলাকার পুরানো সমস্যা। আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ দশমিক ৮ মিলিমিটার, সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ২৪ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি পূর্ণিমার প্রভাবে এখন জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি। আগামী দুইদিন চট্টগ্রামে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ঝড়ো হওয়া সম্ভাবনা না থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা বন্দর থেকে সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। # ২৫.০৭.২০২১ চট্টগ্রাম #