বিজ্ঞান প্রযুক্তি

বিজ্ঞান ভাবনা (১৪২): রাশিয়ার নির্বাচন ও তার পর 

–বিজন সাহা

২০১২ সালের মার্চে ভ্লাদিমির পুতিন পুনরায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। অনেকেই এটাকে খারাপ চোখে দেখে। তাদের ধারণা পর পর দুইবারের বেশি প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হতে পারবে না আসলে এক ধরণের আইনি প্যাঁচ, আমেরিকার মত সেটাও হওয়া উচিৎ ছিল দুই বারের বেশি। তবে সে যাই হোক, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে অন্তত সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়নি। আমার ব্যক্তিগত ধারণা আমেরিকার ঐ রেস্ট্রিকশন যতটা না জনগণের কথা চিন্তা করে তারচেয়ে বেশি করে বড় বড় ব্যবসায়ী চক্র যারা পেছন থেকে দেশ চালায় তাদের স্বার্থের কথা ভেবে করা হয়েছে। কারণ নিরপেক্ষ নির্বাচনে জয়লাভ করে জনপ্রিয় প্রার্থীরা। পেছনে জনসমর্থন থাকায় তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণে অনেক স্বাধীন হয়। যারা পেছন থেকে দেশ চালায় তাদের এটা দরকার নেই। যদি ভুল না করি প্রেসিডেন্ট আইজেনহাওয়ার অস্ত্র ব্যবসায়ী ও মিডিয়া নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী সম্পর্কে আমেরিকার জনগণকে অনেক আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন। বর্তমানে আমেরিকা যে জনগণের চেয়ে এসব বড় বড় কোম্পানির স্বার্থই বেশি দেখে সেটা খোলা চোখেই বোঝা যায়।

যাহোক ২০১২ সালে পুতিন তৃতীয় বারের মত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। সোভিয়েত আমলে মূলত ছাত্র সংগঠনের সম্মেলন উপলক্ষ্যে ১৯৮৫, ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে যথাক্রমে খারকভ, কিয়েভ ও ওদেসায় গেলেও খুব বেশি কিছু দেখা হয়নি। এরপর ১৯৯১ সালে খারকভ যাই মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য। ১৯৯২ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পরে ইয়াল্টা যাই বেশ কিছু দিনের জন্য। তখন ক্রিমিয়া ইউক্রেনের অংশ হলেও সাধারণ মানুষ নিজেদের রুশ বলেই ভাবত বলে মনে হয়েছে। অনেক পরে ২০১২ সালে কিয়েভ ও ক্রিমিয়ায় গিয়ে দেখি অবস্থার তেমন পরিবর্তন হয়নি, বিশেষ করে ক্রিমিয়ায়। ২০১৩ সালে আবার যাই ওদেসা অঞ্চলের ভিলকভা। এটা ডেল্টা দুনাইয়ে অবস্থিত। সেখান থেকে ক্রিমিয়ার বিভিন্ন শহরে। সাধারণ মানুষের মধ্যে রুশ বিরোধী মনোভাব দেখিনি আর ক্রিমিয়ায় অধিকাংশ মানুষ নিজেদের রুশ বলে পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করত। তাই ২০১৪ সালে ময়দান পরবর্তী ঘটনায় ক্রিমিয়া যখন রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হয় তাতে রাশিয়ার বেশির ভাগ মানুষ খুশি হয়েছিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা প্রোপ্যাগান্ডা ও এম্বারগো অনেককে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করলেও দেশের অধিকাংশ মানুষ এই পদক্ষেপ সমর্থন করে। সেই সোভিয়েত আমল থেকেই পশ্চিম ইউক্রেনে, বিশেষ করে লভভে রুশ বিরোধী মনোভাব চাঙ্গা ছিল। ইতিমধ্যে আমেরিকা ভিকি নুল্যান্ডের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ৫ বিলিয়ন ডলার খরচ করে ইউক্রেনে রুশ বিরোধী জনমত তৈরি করতে। ক্রিমিয়া ও দনবাসের পর সেটা সহজ হয়। আমার ধারণা রাশিয়া যেভাবে জন্মগত ও মানসিক ভাবে যারা নিজেদের রুশ সমাজের অংশ ভাবে দনবাসের সেই মানুষদের ইউক্রেনের দক্ষিণ পন্থী বান্দেরার অনুসারীদের হাত থেকে রক্ষা করতে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে আরব বিশ্বও যদি ঠিক সেভাবে প্যালেস্টাইনদের পাশে দাঁড়াত তাহলে আজ প্যালেস্টাইন সমস্যা বলে কিছু থাকত না। রাশিয়া ২০১৪ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ৮ বছর অপেক্ষা করেছে। এই সময়ে মারা গেছে শত শত শিশু-কিশোর, নারী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। তাই যারা ইউক্রেনের জনগণের জন্য চোখের জল ফেলেন তাদের দনবাসের মানুষের কথাও ভাবা উচিৎ। তাদের ভাবা উচিৎ কেন ইউক্রেনের মানুষ গেরিলা যুদ্ধ করছে না। কারণ একটাই, এই এলাকার মানুষ কিয়েভের জান্তা আর পশ্চিমা বিশ্বকে নিজেদের মনে করে না। এদের অনেকেই নিজেদের রুশ জনগোষ্ঠীর অংশ হিসেবে মনে করে। আর এ কারণেই রাশিয়াও ফুলস্কেল যুদ্ধে নামে না, পাছে বেসামরিক মানুষ কাতারে কাতারে মারা যায়। ২০১৪ সাল থেকেই শুরু হয় নতুন পর্যায়। যুদ্ধ না হলেও পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ফাঁস যে দিন দিন আরও বেশি শ্বাসরোধকারী হবে সেটা এরা বুঝতে পারে। শুরু হয় ধীরে ধীরে নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর কর্মকাণ্ড। গড়ে উঠতে থাকে রাস্তাঘাট, ইনফ্রাস্ট্রাকচার। ছাত্রজীবনে বিপ্লব পরবর্তী ও যুদ্ধও পরবর্তী সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বত্র নতুন সমাজ গঠনের বিশাল কর্মকাণ্ডের ইতিহাস পড়েছি। এখন আবার নতুন করে মনে হয় সেটাই শুরু হয়েছে। যে সমস্ত কলকারখানা বন্ধ হয়ে গেছিল সেসব ধীরে ধীরে শ্রমিকের কোলাহলে মুখরিত হয়। পরিত্যক্ত খামার নতুন করে জীবন ফিরে পায়। সোভিয়েত ইউনিয়ন এক সময় শস্য আমদানী করত, রাশিয়া এখন শস্য রপ্তানি করে। ধীর গতিতে কিন্তু স্থিতিশীল উন্নয়নের মধ্য দিয়ে ২০১৮ সালের নির্বাচনে পুতিন আবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ইউরোপের সাথে বাড়ে লেনদেন। তৈরি হয় নর্থ স্ট্রীম-২। ইউরোপের বাজার থেকে রাশিয়াকে সরাতে শুরু হয় ষড়যন্ত্র। ইউক্রেনের যুদ্ধ সেই ষড়যন্ত্রের অংশ বিশেষ। ২০২১ সাল থেকেই নানা ভাবে রাশিয়াকে ইউক্রেন আক্রমণ করতে উস্কানি দেওয়া হয়। অনেকেই বলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে এটাই প্রথম যুদ্ধ। তারা ভুলে যান বেলগ্রাদের কথা। রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেন আক্রমণ করলে চারিদিকে গেল গেল রব পড়ে যায়। রাশিয়া কিন্তু তখনই বলেছে ইউক্রেনে বিপুল পরিমাণে পশ্চিমা অস্ত্র মোতায়েনের কথা। প্রথম দিকে সেটা কেউ বিশ্বাস না করলেও পরবর্তীতে পশ্চিমা বিশ্বের নেতারাই সেটা স্বীকার করেছেন। ভিকি নুল্যান্ড ও ন্যাটোর অনেকেই ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের কথা বলেছেন। মারকেল ও আলেন্দ মিনস্ক চুক্তি যে শুধু ইউক্রেনকে অস্ত্র সজ্জিত করার জন্য সময় নেয়া সেটা স্বীকার করেছেন। যুদ্ধ শুরুর প্রথমেই রুশ বাহিনী কিয়েভের উপকণ্ঠে পৌঁছে গেলে ইউক্রেন শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করতে রাজী হয়। ব্রিটেনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জনসন সেটা ভন্ডুল করেন যেটা ইউক্রেন নিজেই স্বীকার করেছে। শুধু তাই নয়, বুচার নাটক যে মি৬ এর তৈরি সেটা নিয়েও আজকাল কারো তেমন সন্দেহ নেই। এসব কাহিনী যত বেশি সামনে চলে এসেছে এই যুদ্ধের ন্যায্যতা সম্পর্কে রাশিয়ার জনগণের সমর্থন ততই বেড়েছে। যেখানে প্রায় প্রতিটি পশ্চিমী দেশ অর্থনৈতিক সংকটের জন্য মস্কোর ঘাড়ে দোষ চাপাতে চেষ্টা করেছে, পুতিন তখন সর্বান্তকরণে চেষ্টা করেছেন দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে। যদি ইউরোপ আমেরিকার কিছু কিছু দেশের সামরিক সেক্টর এই যুদ্ধে লাভবান হয়ে থাকে, যুদ্ধ চালাতে গিয়ে শুধু সামরিক শিল্প নয় রাশিয়া প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নত হয়েছে। রাস্তাঘাট, হাসপাতাল, ক্রীড়া, এগ্রিকালচার –প্রায় সব ক্ষেত্রেই এরা জেগে উঠছে। কারণ জেগেছে মানুষ। যদি পশ্চিমা বিশ্ব সাধারণ মানুষের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে ইউক্রেনের যুদ্ধের আগুনে ঘি ঢালছে, রাশিয়ার জনগণের প্রায় পুরোটাই এই যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এই জাগরণের ফল রাশিয়ার ঘুরে দাঁড়ানো, এমনকি সবচেয়ে দুর্বল যে এলাকা সেই অর্থনীতিতেও অনেক দেশকে একে একে পেছনে ফেলে আসা। বর্তমান ভোটের ফলাফল তারই প্রমাণ।

পড়ুন:  বিজ্ঞান ভাবনা (১৪১): রাশিয়ার নির্বাচন ও তার পর – বিজন সাহা

অনেকেই প্রশ্ন করেন বর্তমানে পুতিনের যে সমর্থন তাতে করে সবাইকে এভাবে ভোট দেবার জন্য আহ্বান জানানো কেন হচ্ছে, বিশেষ করে আমাদের দেশে যেখানে ভোট কেন্দ্রে ভোটার যত কম আসে সে চেষ্টাই করা হয়। এটা ঠিক এই মুহূর্তে, প্রায় সব দল যেখানে পুতিনকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে সমর্থন করছে। তবে দলের সমর্থন আর জনসমর্থন এক নয়। নির্বাচন শুধু কোন ব্যক্তির জয়লাভ নয়, তাঁর বা তাদের কাজের প্রতি আস্থা। আর যুদ্ধকালীন অবস্থায় সেটা খুবই জরুরি। তাছাড়া নির্বাচনে যদি দেশের অধিকাংশ মানুষ অংশগ্রহণ না করে তাঁর ফলাফল যেকোনো সময় প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে। যেমনটা এবার বাংলাদেশে বিরোধী অনেক দল নির্বাচন বয়কট করে নির্বাচনকেই ভন্ডুল করার চেষ্টা করেছিল। সেদিক থেকেও এই নির্বাচনে যত বেশি সম্ভব লোকের উপস্থিতির দরকার ছিল। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে পুতিন প্রথমেই দেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এটাও বলেন যে তিনি নিজেও আশা করেননি এত বেশি সমর্থনের। বাকী তিনজন প্রার্থীর একজন ছিলেন নতুন মানুষের দলের যিনি মূলত ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি। তিনি বেশ ভালো সমর্থন পেয়েছেন। সেদিক থেকে কমিউনিস্ট পার্টি ও লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থীরা অনেক কম ভোট পেয়েছেন। কিন্তু পুতিন নিজে স্বীকার করেছেন যে এটা তাদের পরাজয় নয়, এই দুই দলের সমর্থকরা নিজেদের দেশপ্রেমিক হিসেবে প্রচার করে আর তাই দেশের এই ক্রান্তিকালে কালে দলের চেয়ে দেশকে সামনে নিয়ে এসেছে আর এ কারণেই তিনি আশাতীত ভোট পেয়েছেন। পরের দিন সব দলের প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাৎ করে তিনি আগামী দিনের কাজ সম্পর্কে তাদের অভিমত জানতে চান। তবে যেটা খুবই আশাব্যঞ্জক তা হল, সবাই বলেছে আমরা ভিন্ন ভিন্ন দলের প্রতিনিধিত্ব করলেও দেশ আমাদের একটাই। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো যখন এভাবে কথা বলতে পারবে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ তখন না বদলিয়ে পারবে না। আরও যে বিষয়টা সবার চোখে পড়েছে সেটা বিদেশের মাটিতে এদের ভোট দেবার চিত্র। এবারের মত স্বতঃস্ফূর্ত ভোট বিদেশের মাটিতে আগে হয়েছে বলে জানা নেই। উল্লেখ করা যেতে পারে যে এই ভোটারদের একটা বিরাট অংশ ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতিবাদে অথবা যুদ্ধ এড়াতে দেশের বাইরে অবস্থান করছে। লিবারেল বলে পরিচয় দেয়া ও মূলত দেশের বাইরে অবস্থান করে যারা পুতিনের রাশিয়ার বিরোধিতা করছে, দেশের উপর আরও বেশি করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য পশ্চিমা বিশ্বের কাছে ধর্না দিচ্ছে তারা কিন্তু ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিল আর সেক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে বলেছিল ১৭ তারিখে বেলা ১২.০০ টায় ভোট কেন্দ্রে গিয়ে পুতিনের বিরুদ্ধে ভোট দিতে। এখানেও কাউকে জোর করে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়নি। বিদেশের মাটিতে তো সেই সুযোগ ছিলই না। এমনকি পশ্চিমা বিশ্বের অনেক দেশেই ভোট দেয়া ছিল বিপদজনক। তারপরেও সেখানে লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষ ভোট দিয়েছে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুতিন বিজয়ী হয়েছেন। এর অর্থ – তারা নিজেদের রুশ সংস্কৃতির, রুশ জগতের অংশ বলে মনে করে, দেশের ঘটনাবলী তাদেরকে ছুঁয়ে যায়। অক্টোবর বিপ্লবের পরে রুশ দেশের প্রচুর লোক স্বেচ্ছায় বা বাধ্য হয়ে ইউরোপে আশ্রয় নেয়। কিন্তু জার্মানি সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণ করলে এদের অনেকেই জার্মানির বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে যুদ্ধে নামে। আদর্শ ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু জন্মভূমি একটাই। এরা আবারও সেটাই প্রমাণ করে গেল। পশ্চিমা বিশ্ব আপ্রাণ চেষ্টা করছে এদের মধ্যে বিভাজনের বীজ বুনতে, কিন্তু সেটা বার বার এদের আরও ঐক্যবদ্ধ করছে। নির্বাচন নিয়ে আর যে কথাটা না বললেই নয় তা হল কী সোভিয়েত আমলে, কী ১৯৯১ পরবর্তী রাশিয়ায় – নির্বাচন অনেকটা উৎসবের মত। আমাদের দেশে যদি নির্বাচন কেন্দ্রে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করে, এখানে সব হয় শান্তিপূর্ণ ভাবে। মানুষ যাতে ঠান্ডা মাথায় নিজের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিতে পারে সে জন্য ভোট কেন্দ্রে ভোট শুরুর ২৪ ঘন্টা আগে থেকে সব ধরণের নির্বাচনী প্রচারণা বেআইনি ঘোষণা করা হয়। এবারের নির্বাচন বানচাল করতে না পেরে শত্রু চেষ্টা করেছে ক্রকুসে সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে বিজয়ের আনন্দ মাটি করতে। কিন্তু সেটা আবার নতুন করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেছে, করছে। এ নিয়ে পরের পর্বে।

গবেষক, জয়েন্ট ইনস্টিটিউট ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ
শিক্ষক, রাশিয়ান পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি, মস্কো