চলমান সংবাদ

বাংলাদেশ ব্যাংকের গোপন প্রতিবেদনে সবল ব্যাংক মাত্র ১৬টি


Thumbnail

দেশের ৫৪টি ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে একটি গোপন প্রতিবেদন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যেখানে ছয়টি রাষ্ট্রায়ত্তসহ মোট ৩৮টি ব্যাংককে দুর্বল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে দেশের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ব্যাংক দুর্বল। রেড জোনের ব্যাংকগুলোর অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। ইয়েলো জোনের ব্যাংকগুলো দুর্বল। সেগুলো মধ্যবর্তী অবস্থায় রয়েছে। আর গ্রিন জোনের ব্যাংকগুলো ভালো।

৫৪টি ব্যাংকের মধ্যে ১২টির অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। এর মধ্যে ৯টি ইতোমধ্যে রেড জোনে চলে গেছে। ইয়েলো জোনে আছে ২৯টি ব্যাংক। যার মধ্যে ৩টি রেড জোনের খুব কাছাকাছি রয়েছে। মাত্র ১৬টি ব্যাংক গ্রিন জোনে আছে। এর মধ্যে ৮টিই বিদেশি। অর্থাৎ গ্রিন জোনে রয়েছে মাত্র ৮টি দেশি ব্যাংক।

২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে গত বছরের জুন পর্যন্ত ৫৪টি ব্যাংকের তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এসময়ে ব্যাংকগুলোর বিগত ছয়টি অর্ধবার্ষিক উপাত্ত আমলে নেয়া হয়েছে।

এ পদ্ধতি অনুসরণ করে ব্যাংকস হেলথ ইনডেক্স (বিএইচআই) অ্যান্ড হিট ম্যাপ তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি বিভাগ। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক এবং আইসিবি ইসলামিক ব্যাংককে এই ম্যাপ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। কারণ ব্যাংকগুলোর ডেটা পয়েন্ট নমুনা ব্যাংকের অন্যান্য পর্যবেক্ষণ থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে আলাদা।

এছাড়া বেঙ্গল কমার্সিয়াল ব্যাংক, সিটিজেন ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংককে এই ম্যাপের বাইরে রাখা হয়েছে। কারণ, এগুলোর ঐতিহাসিক তথ্য নেই।

সময় যত গড়াচ্ছে, সবল ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংককে একীভূত করার বাস্তবতা ততই পোক্ত হচ্ছে। ঠিক সেসময়েই দেশের ব্যাংকগুলো নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের করা গোপন প্রতিবেদনে এমন ভয়াবহ চিত্র উঠে এলো।

গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংক মালিকদের বৈঠক হয়। সেখানে দুর্বল ব্যাংককে সবল ব্যাংকের সঙ্গে মার্জার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভায় জানা যায়, ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে দেশের প্রায় ১০টি ব্যাংককে একীভূত করা হবে।

উল্লেখ্য, রেড জোনের ৯টি এবং ইয়োলো জোনের ২৯টিসহ মোট ৩৮টি ব্যাংককে দুর্বল হিসেবে ধরা হয়েছে। আর গ্রিন জোনের ১৬টি ব্যাংককে সবল বলে গণ্য করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ৫৪টি ব্যাংকের সার্বিক অবস্থা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।