চলমান সংবাদ

বেইলি রোডের আগুনে নিহত ৪৪ জন

রাজধানীর বেইলি রোডের একটি রেস্তোরায় লাগা অগ্নিকাণ্ডে উদ্ধারকাজ চলছে । ছবি: ইনডিপেনডেন্ট
রাজধানীর বেইলি রোডের একটি রেস্তোরায় লাগা অগ্নিকাণ্ডে উদ্ধারকাজ চলছে ।

এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ৪৩ জনের নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেন। নিহত আরেকজন কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে মারা যান বলে জানান আইজিপি। দগ্ধ হয়ে আরও অনেকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ঘটনার পরপরই শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে পরিদর্শনে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, নহিতদের মধ্যে ৩৩ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ১০ জন শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় হাসপাতালগুলোর কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।

নিহতদের মধ্যে ভিকারুন্নেসার শিক্ষকসহ দুজন শনাক্ত

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, অধিকাংশই নিহত হয়েছে শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ার কারণে। এ ছাড়া ধোয়ার কারণে শ্বাসরোধ হয়েওে অনেকে মারা গেছে।

বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে আগুনের সূত্রপাত হয়। যা পরে ভবনটিতে থাকা গ্যাসরে সিলিন্ডারের কারণে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। অবশ্য ২ ঘণ্টার চষ্টোয় ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর পর সেখান থেকেই তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

এ ছাড়া ৪২ জনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৭৫ জনকে। এর মধ্যে চারজন শিশু ও ২১ জন নারী। বাকি সবাই পুরুষ বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।

গুরুতর আহতদের মধ্যে ২০ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। বাকিদের মধ্যে অধিকাংশকেই ঢামেক হাসপাতালে। এ ছাড়া আশপাশের বেসরকারি হাসপাতালেও কয়েকজনকে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে বেইলি রোডের বহুতল ভবনটির সামনে সাধারণ মানুষ ভিড় করেছেন। আটকে পড়া স্বজনদের খোজে এসেছেন অনেকে। হতাহতদের সবাই শ্বাসরো্ধ হয়ে মারা গেছে। ভবনটিতে সরু সিড়ি থাকায় উদ্ধারকাজ বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। তবে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে বলে মনে করছে ফায়ার সার্ভিস। না হলে আশপাশের ভবনেও আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারত।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, ছয়তলা ভবনটিতে থাকা সিড়ি ছিল সরু। শুধু তাই নয়, এমনকি সিড়িতেও রাখা ছিল গ্যাসের সিলিন্ডার। ফলে সিড়ি দিয়ে আটকে পড়াদের বেরিয়ে আসাটা কঠিন ছিল।

ব্রিফিংয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ভবনটি তৈরিতে অনিয়ম ছিল কিনা, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কিনা, এসব তদন্তে রমনা থানায় একটি মামলা করা হবে। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর বেইলি রোডে একটি রেস্টুরেন্টে বৃহস্পতিবার রাতে আগুন লাগে। দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু করেন। শুরুতে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয়। কিন্তু আশপাশের কয়েকটি দোকনে আগুন ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ন্ত্রণে পরে ইউনিট সংখ্যা বাড়িয়ে ১৩টি করা হয়। উদ্ধারকাজে মোতায়েন করা হয় আনসার সদস্যদের। সর্বশেষ বিজিবি সদস্যরাও উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছেন।