চলমান সংবাদ

চৌধুরী হারুনর রশীদ ফাউন্ডেশনের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন

চৌধুরী হারুনর রশীদ ফাউন্ডেশনের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান করছেন প্রধান অতিথি ও সাংসদ মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।

আজ ২৪ ফেব্রুয়ারী। শনিবার বিকাল ৩টায় মনসা, আশরাফ আলী চৌধুরী বাড়ি প্রাংগণে পটিয়ার সাবেক সাংসদ, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ভাষা সৈনিক, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শ্রমিক নেতা চৌধুরী হারুনর রশীদ ফাউন্ডেশনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন পটিয়ার নব নির্বাচিত সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীন রাজনীতিবিদ আলহ্বাজ মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।

চৌধুরী হারুনর রশীদ ফাউন্ডেশনের ফলক উম্মোচন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। চৌধুরী হারুনর রশীদ ফাউন্ডেশন প্রস্তুতি পরিষোদের আহ্বায়ক, কবি ও সাংবাদিক ওমর কায়সারের সভাপতিত্বে এবং ইফতেখার কামাল খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তপন দত্ত এবং অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন সাংবাদিক নেতা জসিম উদ্দিন চৌধুরী সবুজ, গণতান্ত্রিক আইনজীবী পরিষদের সাধারন সম্পাদক জহির উদ্দিন মাহমুদ, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার বর্গের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগনেতা মোঃ নাসির উদ্দিন, কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগনেতা মো; জাকারিয়া ডালিম  সিপিবি দক্ষিন জেলা কমিটির সভাপতি কানাই দাশ, সাধারন সম্পাদক শওকত আলী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

সভায় প্রধান অতিথি আলহ্বাজ মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মরহুম চৌধুরী হারুনর রশীদ ছিলেন পটিয়ার গৌরব ও অহংকার। তিনি একাধারে সৎ, নির্লোভ, সমাজ দরদী  এবং গণ মানুষের নেতা ছিলেন। তিনি একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শ্রমিকনেতা ছিলেন। চৌধুরী হারুন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে দেশের স্বাধীনতার জন্য অস্ত্র হাতে নিয়েছিলেন। তার মতন একজন গুনী মানুষের নামে ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা কিছুটা হলেও ঋনমুক্ত হয়েছি মাত্র। এইজন্য তিনি উদ্যোক্তাদেরকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরো বলেন যে জাতি গুনীর সম্মান করে না সেখানে গুনী জন্ম নেয় না।

আলহ্বাজ মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী আরো বলেন, চৌধুরী হারুনর রশীদ একজন আলোকিত মানুষ ছিলেন। চৌধুরী হারুনর রশীদ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে অত্র অঞ্চলের নতুন প্রজন্ম চৌধুরী হারুনর রশীদের জীবন সম্পর্কে অবগত হয়ে নিজেরাও আলোকিত হতে পারবে এবং একই সাথে নতুন প্রজন্ম চৌধুরী হারুনের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সমাজ প্রগতিকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

তিনি এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসাবে চৌধুরী হারুনর রশীদ ফাউন্ডেশনের জন্য তার পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।