চলমান সংবাদ

আদালতের আদেশ থাকা সত্বেও ইমপেরিয়াল হসপিটাল, ডা: আরিফকে কাজে যোগদান করতে দেয়নি

মানব সম্পদ বিভাগের প্রধানের নির্দেশে, সিকিউরিটি ইনচার্জ, ডা আরিফের কাছ থেকে তার যোগদান পত্রটি হাসপাতালের ফটকেই গ্রহণ করছেন

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রীঃ তারিখ চট্টগ্রাম প্রথম শ্রম আদালতে ডাঃ আরিফ উদ্দিন এর করা মামলায় মাননীয় বিজ্ঞ বিচারক, ইমপেরিয়াল হসপিটাল কর্তৃপক্ষের গত ৩রা ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখের চাকরিচ্যুতির চিঠি কেন স্থগিত করা হবেনা তৎমর্মে আদালতের নোটিশ প্রাপ্তির ২০ দিনের মধ্যে কারন দর্শানো এবং একইসাথে উক্ত চাকরিচ্যুতির চিঠির কার্যকারিতা আগামী ধার্য তারিখ পর্যন্ত স্থগিত রাখার নির্দেশ প্রদান করেছেন।

ডাঃ আরিফ উদ্দিন গত ১৫/০২/২৪ খ্রীঃ তারিখ, আদালতের উক্ত আদেশ, রেজিস্টার্ড ডাকে ইমপেরিয়াল হসপিটাল কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করেন ও তাকে স্বপদে যোগদানের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান। কিন্তু গত ১৯/০২/২৪ খ্রীঃ তারিখ, পর্যন্তও কর্তৃপক্ষ কোন সাড়া না দেয়ায়, ডা আরিফ গত ২০/০২/২৪ খ্রীঃ তারিখ সকালে ইমপেরিয়াল হসপিটাল লিঃ এ তার কর্মক্ষেত্রে যোগদান করতে গেলে, নিরাপত্তা কর্মিরা বাধা দেয়। এসময় তিনি আদালতের স্থগিতাদেশ দেখালে নিরাপত্তা কর্মকর্তা হাসপাতালের এইচ আর বিভাগের প্রধানের সাথে কথা বলেন কর্মস্থলে যেতে বাধা দেন। সিকিউরিটি ইনচার্জ যোগদানপত্র নিলেও কর্মস্থলে প্রবেশ করতে দেয়নি। ফলে তারা কর্মস্থলে যেতে বাধা দিয়ে আদালতের আদেশ লংঘন করেছে।

উল্লেখ্য চট্টগ্রামের মাননীয় সিভিল সার্জন এর চিঠির প্রেক্ষিতে হাসপাতালের প্রধান ফটকের সাইনবোর্ড সমূহ থেকে “অ্যাপোলো” নামটি সরিয়ে ফেলা হলেও সিকিউরিটি ইনচার্জের আইডি কার্ডে এখনো “অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হসপিটালস” নামটি রয়েছে যা সর্বসাধারণকে বিভ্রান্তিতে ফেলবে।

এ মতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট জনেরা বলেছেন, ইমপেরিয়াল হসপিটাল লিমিটেড বাংলাদেশের আইন আদালত, এর তোয়াক্কা না করেই চলছে, এটা যেন চট্টগ্রামেই ভিন্ন কোন দেশ, যা এই ধরনের কর্পোরেট হাসপাতালের কাছ থেকে কাম্য নয়।