চলমান সংবাদ

জার্মানিতে পরিবেশকর্মীদের পথ অবরোধ

জার্মানির হামবুর্গে পথ অবরোধ করলেন পরিবেশকর্মীরা। পরিবেশরক্ষা কর্মীদের এই সংগঠনের নাম ‘লাস্ট জেনারেশন’।

বৃহস্পতিবার সকালে একই সময় হামবুর্গ শহরের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পথ অবরোধ করেন পরিবেশকর্মীরা। এর মধ্যে নদীর তলা দিয়ে যাওয়া প্রধান টানেলও ছিল। একজন কর্মী অন্যদের গায়ে আঠা লাগিয়ে দিচ্ছিলেন, যাতে তারা রাস্তায় সেঁটে যেতে পারেন। পুলিশ জোর করে পরিবেশরক্ষা কর্মীদের সরিয়ে দেয়।

পরিবেশরক্ষা কর্মীরা জানিয়েছেন, ”আমরা এমার্জেন্সি ব্রেক লাগাবার কথা বলেছি। কারণ, যেভাবে সবকিছু চলছে, তাতে নিজেদের ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছি আমরা।”

পুলিশ জানিয়েছে, তারা বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়েছে। সব রাস্তা খুলে গেছে। কিন্তু এই ঘটনার জেরে দীর্ঘ যানজট হয়।

রাস্তা অবরোধের ফলে দীর্ঘ যানজট হয়।
রাস্তা অবরোধের ফলে দীর্ঘ যানজট হয়।

এর মধ্যে একটা রাস্তা ট্রাক দিয়ে আটকে দেয়া হয়েছিল। পুলিশ সেই রাস্তায় ব্যারিকেড করে আগে ট্রাক সরায়, তারপর রাস্তা খোলে।

এরমধ্যে একটি জায়গায় কর্মীরা নিজেদের গায়ে আঠা লাগিয়ে রাস্তার সঙ্গে সেঁটে যায়। অন্য জায়গায় অবশ্য পুলিশ তাদের এই কাজ করতে দেয়নি।

একজন বিক্ষোভকারী জানিয়েছেন, ”আমরা  শুধু পরিবেশ নষ্ট করছি তাই নয়, সেই সঙ্গে আমাদের অর্থনীতি ধ্বংস করছি, খাদ্য সরবরাহ প্রক্রিয়া নষ্ট করছি, গণতন্ত্রে আঘাত করছি।”

এই পরিবেশরকর্মীরা এর আগে মিউজিয়ামে রাখা ছবিতে খাবার ছুড়ে মারে।
এই পরিবেশরকর্মীরা এর আগে মিউজিয়ামে রাখা ছবিতে খাবার ছুড়ে মারে। 

লাস্ট জেনারেশন কারা?

এই লাস্ট জেনারেশন হলো পরিবেশরক্ষা কর্মীদের একটি সংগঠন। তারা এইভাবেই আইন অমান্য়.করে মধ্যে দিয়ে পরিবেশ রক্ষার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তারা রাস্তায় ও সরকারি বাড়িগুলির সঙ্গে আঠা দিয়ে নিজেদের সেঁটে দেয়। মিউজিয়ামে বিখ্য়াত ছবি বা ভাস্কর্যে তারা খাবার বা তরল ছোড়ে।

কিছুদিন আগে তারা পশ্চিম জার্মানিতে একটি কয়লাখনির সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল। গ্রেটা থুনবার্গ সেখানে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন।

তবে যেভাবে তারা পরিবেশ নিয়ে ,সচেতনতা বাড়াবার চেষ্টা করছে, তা অনেক সংস্থাই ঠিক বলে মনে করে না। ডাব্লিউডাব্লিউএফের জার্মান শাখার মতো বেশ কয়েকটি সংগঠনের মতে, লাস্ট জেনারেশন প্রতিবাদের যে পথ নিয়েছে, তা অনেক মানুষ তা ঠিক মনে করে না। এর ফলে তাদের আসল উদ্দেশ্য পরাজিত হতে পারে বলে তাদের অভিমত।

# সূত্রঃ ডয়চে ভেলে