চলমান সংবাদ

বিলস-এর উদ্যোগে চট্টগ্রামে আর্ন্তজাতিক নারী দিবস পালিত


নগরীর চেরাগী পাহাড় চত্বরে গণজমায়েত, র‌্যালী ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।
বিলস্-এর উদ্যোগে আর্ন্তজাতিক নারী দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ ৮ মার্চ ২০২৩ ছিল নগরীর চেরাগী পাহাড় চত্বরে গণজমায়েত ও র‌্যালী এবং নারীর ওপর সকল সহিংসতা-নিপীড়ন বন্ধের দাবীতে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মিলানায়তনে নারী ট্রেড ইউনিয়ন কর্মীদের অংশগ্রহনে আলোচনা সভা-র কর্মসুচি। কর্মসূচিতে বিল্স-সম্পৃক্ত ৮টি ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের শতাধিক নারী-কর্মী অংশ নেন।

বিল্স-এর নারী দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপ¯িহত ছিলেন প্রবীন শ্রমিক নেতা ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি শ্রমিক নেতা তপন দত্ত। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিল্স-এলআরএসসি চট্টগ্রাম পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান শ্রমিক নেতা এ এম নাজিমউদ্দিন। বাংলাদেশ মুক্ত শ্রমিক ফেডারেশন-বিএমএসএফ-এর নারী কমিটির চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি নাজমা আক্তার-এর সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের নারী সংগঠক আদুরী কণার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের নগর মহিলা কমিটির সভাপতি শাহেনেওয়াজ চৌধুরী, জান্নাতুল ফেরদৗস বিথী, জাতীয় শ্রমিক লীগের নাসরিন আক্তার, লুৎফুন্নাহার সোনিয়া, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের গোলজার বেগম, বাংলাদেশ ফ্রি ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস –এর জিন্নাত আক্তার, জাতীয় শ্রমিক জোটের শাহানা আক্তার, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের মুন্নী আক্তার প্রমূখ।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রবীন শ্রমিক নেতা ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি শ্রমিক নেতা তপন দত্ত বলেন, “সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকেই নারীরা ঘরে-বাইরে অবদান রেখে চলেছে। নারীকে ঘেরাটোপ-বন্দী করে রাখার পশ্চাৎপদ ধ্যান-ধারণার বিরূদ্ধে দাড়াতে না পারলে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেয়া যাবে না। আজকের পরিবর্তিত বিশ^-বাস্তবতায়, নারীর অধিকার, সমতা ও মর্যাদার প্রশ্নে নারী-পুরুষ উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গির বদল অত্যাবশ্যক। সামাজিক ন্যায়-বিচার, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের স্বার্থে নারীদের সর্বত্র অংশগ্রহন বাধাহীন, নিশ্চিত ও নিরাপদ করাও জরূরী।” সভায় নারী ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের দেশের সংবিধান, শ্রম আইন, জাতীয়-আর্ন্তজাতিক নানাবিধ ঘোষনা ও কনভেনশনে নারীদের জন্য বিশেষত কর্মজীবি ও নারী শ্রমিকদের জন্য নিয়োগ ও কর্মে সমতা, সম কাজে সম মজুরি, মাতৃত্বকালীন সুরক্ষা, কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী ও র্উধ্বতনদের দ্বারা অশোভন আচরণ, যৌন হয়রানী ও শারীরিক-মানসিক নিগ্রহের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকার বিধানের কথা থাকলেও প্রায়শ: তাদের এ অধিকার লংঘিত হচ্ছে। নারী শ্রমিকদের শোষণ, নির্যাতন, হয়রানী, সহিংসতা ও বৈষম্য থেকে মুক্ত করাই আজকের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। জাতি, ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে নারীদের কৃতিত্বকে স্বীকৃতি জানানো এবং প্রত্যেককে অধিকার ও লিঙ্গ-সমতা সম্পর্কে সচেতন করে তোলার পাশাপাশি নারীদের সমান অধিকারের লড়াই জোরদার করা আজ সময়ের দাবী।