চলমান সংবাদ

দিনে-রাতে সমানে চলছে পাহাড় নিধন

মীরসরাই উপজেলার ১ নম্বর করেরহাট ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় থেমে নেই পাহাড় কাটা। কোথাও প্রকাশ্য দিবালোকে, কোথাও রাতের আঁধারে স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র পাহাড় কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে। সরেজমিনে গেলেও দেখা মেলে আস্ত পাহাড় কেটে সাবাড় করার সচিত্র হাল।

প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের সামনেরখিল, ফরেস্ট অফিস, কয়লা ও ঘেরামারা এলাকার অনেক স্থানের পাহাড় কেটে মাটি নিয়ে যাচ্ছে কোনো ইটভাটা কিংবা মাটি বেচাবিক্রির সঙ্গে জড়িত কোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কোথাও প্রকাশ্য দিবালোকে, কোথাও রাতের আঁধারে দূর থেকে যেন কেউ টের না পায় সেভাবে তেরপাল দিয়ে আড়াল করে দিবারাত্রি চলছে এই পাহাড় কাটা।

গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘেড়ামারা বড়থলি জামে মসজিদের পশ্চিম দক্ষিণ পার্শ্বের বেশ কয়েকটি পাহাড় গত কয়েক বছর ধরে থেমে থেমে চলছে কাটা। সরেজমিনে গেলে মাটিভর্তি একটি ট্রাককে দ্রুত ভিতরের সড়ক দিয়ে চলে যেতে দেখা যায়।

ট্রাকের শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি। পাশে নিজ জমিতে কাজ করা কৃষক জেরু মিয়া (৫৭) ও বৃদ্ধা আনোয়ারা বেগমকে (৬৫) জিগ্যেস করলেও পাহাড় নিধনকারীদের ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শুধু বললেন, মাটিগুলো সম্ভবত স্থানীয় নাহিদ কোম্পানি কাটছে।

অনেক স্থানে মাটি কেটে নেয়ার কাজ চলমান থাকা পাহাড়ের গায়ে সদ্য রোপণ করা বনজ ও ফলজ চারা দেখা গেছে। আবার পাহাড়ের অপর পার্শ্বে কয়েকটি বসতিও দেখা গেছে। কিন্তু কেউ মুখ খুলছে না পাহাড় কাটার বিষয়ে।

এই বিষয়ে স্থানীয় করেরহাট ইউপি চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়নের কাছে জানতে চাইলে বলেন, পাহাড় কাটা অবশ্যই একটি অপরাধ। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কার্যকর উদ্যোগ নিলে আমরাও সহযোগিতা করব।

মীরসরাইয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন বলেন, কোথাও কোনো অন্যায় বা অপরাধের সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে আমরা সাথে সাথে কার্যকর উদ্যোগ নেব। উক্ত পাহাড়ি এলাকায়ও শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে।