চলমান সংবাদ

আবারও প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষা শুরু

প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা এক যুগ পর আবারও শুরু হচ্ছে৷ এ মাসের শেষ সপ্তাহে প্রতিটি উপজেলা সদরে পরীক্ষা হবে৷ এতে অংশ নিতে পারবে প্রতিটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির মোট শিক্ষার্থীর ১০ শতাংশ। পঞ্চম শ্রেণি পেরিয়ে মাধ্যমিকে পা রাখা শিক্ষার্থীদের মধ্যে কারা কারা সরকারি বৃত্তি পাবে, তা নির্ধারণে এক সময় আলাদাভাবে এই পরীক্ষা নেওয়া হত, যা বৃত্তি পরীক্ষা নামেই পরিচিত৷

২০০৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি) শুরু হওয়ার পর আলাদা বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়৷ প্রাথমিক সমাপনীর ফলের ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া শুরু হয়৷

মহামারির কারণে গেল দুইবছর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা হয়নি৷ পরে জানানো হয়, নতুন শিক্ষাক্রম চালু হচ্ছে বলে সমাপনী পরীক্ষা আর নেওয়া হবে না৷এ পরিস্থিতিতে প্রাথমিকে মেধা বৃত্তির জন্য যোগ্য শিক্ষার্থী বাছাই করতে আবারও আলাদা পরীক্ষার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হচ্ছে৷

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দেশের প্রতিটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির মোট শিক্ষার্থীর ১০ শতাংশ প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে৷

তিনি বলেন, ‘‘আমাদের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা না হলেও কিন্তু আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে বার্ষিক মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরু হবে৷ শ্রেণিকক্ষ ও বার্ষিক মূল্যায়ন পরীক্ষার ভিত্তিতে মেধা যাচাইয়ে এগিয়ে থাকা ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী এই বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে৷’’

তিনি আরো বলেন ‘‘মূলত প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে, তাদের মেধার মূল্যায়নের জন্যই বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে৷’’

গত ২৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে মেধাবৃত্তি দেয়ার বিকল্প মেধা যাচাই পদ্ধতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়৷ সভায় বর্তমান প্রচলিত নিয়ম ও পদ্ধতিতে প্রাথমিক বৃত্তি দেওয়া অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়৷ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর৷ মঙ্গলবারের মধ্যে সেসব তথ্য ই-মেইলে পাঠাতে বলা হয়েছে শিক্ষা কর্মকর্তাদের৷

আগামী বছর থেকে ধাপে ধাপে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হচ্ছে৷ প্রাথমিকের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি এবং মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে এই শিক্ষাক্রম শুরু হবে৷ নতুন শিক্ষাক্রমে পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী এবং অষ্টম শ্রেণিতে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার কোনোটিই নেই৷

সর্বশেষ প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা হয় ২০১৯ সালে৷ ওই ফলাফলের ভিত্তিতে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বৃত্তির জন্য নির্বাচিত ৮০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়৷

ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসে ৩০০ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসে ২২৫ টাকা করে পায়৷ প্রাথমিক সমাপনীর বৃত্তিপ্রাপ্তরা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এই বৃত্তি পায়৷