চলমান সংবাদ

জন্মনিবন্ধন ও নাগরিক সনদ পেতে বিডম্বনা বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহনের দাবি- ক্যাব চট্টগ্রাম

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি, বিয়ের নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, চাকরিতে নিয়োগ, ব্যাংক হিসাব খোলা, গ্যাস-পানি-টেলিফোন-বিদ্যুতের সংযোগ, ট্রেড লাইসেন্স, জমির নিবন্ধনসহ ১৬টি মৌলিক সেবা পেতে জন্মসনদ ও নাগরিক সনদ (এনআইডি) লাগে। অনেকে ঘুষ দিয়ে বা দালাল ধরেও সঠিক সময়ে জন্মসনদ, নাগরিক সনদ পান না। সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর, ইউপি চেয়ারম্যান বা পৌরসভার মেয়ররা অনেক সময় এ বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিক না হবার কারনে জন্মনিবন্ধন ও নাগরিক সনদ পেতে মানুষের বিডম্বনার শেষ নাই। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ও অনাকাঙিক্ষত। তাই জন্মনিবন্ধন ও নাগরিক সনদ পেতে নাগরিকের ভোগান্তি এবং বিডম্বনা রোধে করে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ের মধ্য সনদ পেতে কার্যকর ব্যবস্থা নেবার দাবি জানিয়েছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষনকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও মহানগর কমিটি।

১৯ অক্টোবর ২০২২ইং বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু ও সাধারন সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান প্রমুখ উপরোক্ত দাবি জানান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, কয়েকদিন আগে দেশব্যাপী নানা আয়োজনে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত হলেও ভুক্তভোগীদের ভোগান্তির সমাধানের কথা আলোচনায় নেয়া হয় নি। অন্যদিকে সেবা প্রদানকারীদের সীমাবদ্ধতা এবং সক্ষমতা জঠিলতা সমাধানের কাঙিক্ষত কোন সুপারিশ ছাড়াই দায়সার গোছের দিবস উদযাপন করা হয়। যা সময়ের প্রয়োজনের সাথে কোনভাবেই সামঞ্জস্যহীন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দেশে কাঙ্ক্ষিত নাগরিক সেবা পেতে জন্মনিবন্ধন সনদ এখন অনেকটা বাধ্যতামূলক হলেও এই সেবা পেতে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। ২০০১ সাল থেকে কার্যক্রম শুরুর ২০ বছর পার হয়ে গেলেও একটি কার্যকর জন্মনিবন্ধন ব্যবস্থা তৈরি করা সম্ভব হয়নি। এই সনদ পেতে যে ভোগান্তি, সেটিই প্রমাণ করে, এ দেশে সরকারি দপ্তরগুলোতে সহজে কোনো সেবা পাওয়া যায় না। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা প্রতিনিয়তই প্রকাশিত হলেও প্রতিকার নাই, যা খুবই দুঃখজনক।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন ২০২২ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিকে ভর্তির আবেদনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জন্মনিবন্ধন অত্যাবশ্যকীয় করা হয়েছে। কিন্তু জন্মনিবন্ধন সনদের জটিলতায় মাধ্যমিক স্তরে ভর্তির আবেদন করা নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। ফলে শিক্ষার্থীদের ভর্তির আবেদন করা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এ জন্য বেশ কিছু দিন ধরেই সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্মনিবন্ধন সনদ সংগ্রহের হিড়িক পড়লেও সার্ভারের জঠিলতাসহ নানা অজুহাতে চাহিদামতো জন্মনিবন্ধন পাচ্ছে না।