চলমান সংবাদ

নানা ছদ্মাবরণে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি সক্রিয়

একাত্তরে পরাজিত সাম্প্রদায়িক অপশক্তিই এদেশে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা-নির্যাতনসহ সাম্প্রদায়িক সহিংসতা চালাচ্ছে। তারা পাকিস্তানের ভাবধারা পুনঃপ্রতিষ্ঠার অপচেষ্ঠায় লিপ্ত। বিভিন্ন সেক্টরে নানা ছদ্মাবরণে সাম্প্রদায়িক এই অপশক্তি সক্রিয় রয়েছে। এই অপশক্তিকে প্রতিরোধ করে সমূলে উৎপাটন করতে হবে। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আন্দরকিল্লার পুরোনো নগর ভবনের চসিক কেবি আবদুচ সাত্তার মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। হিন্দু সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে অসহায় মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। পরিষদের উপদেষ্টা সাংবাদিক প্রীতম দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউনুস গণি চৌধুরী। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম জেলা পুজা উদযাপন পরিসদের সভাপতি শ্যামল কুমার পালিত। বিশেষ অতিথি ছিলেন চসিক কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নিলু নাগ, চসিক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিতাই প্রসাদ ঘোষ, যুব রেডক্রিসেন্ট চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক গাজী ইফতেখার আহমেদ ইমু। বক্তারা বলেন, ৭২’র সংবিধান রচিত হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনার ওপর ভিত্তি করে। কিন্তু ৭৫’এ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশকে পাকিস্তান বানানোর অপচেষ্টা শুরু হয়। ৭৫’র হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত ছিল তারা চেয়েছিল পাকিস্তানের মতো রাষ্ট্রীয় সংবিধানে সাম্প্রদায়িকীকরণ করতে। শুধু কথায় নয়, প্রকৃত অর্থে ৭২’র সংবিধান প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে এবং এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন হিন্দু সমাজকল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার দে। এছাড়া বক্তব্য রাখেন প্রবীন রাজনীতিক স্বপন সেন, উজ্জ্বল পাল চৌধুরী, কার্তিক চন্দ্র দে, কল্যাণ ভট্টাচার্য, মিশু তালুকদার, উত্তর জেলা ছাত্রলীগ নেতা মো. মোরশেদ, যুবলীগ নেতা মো. জুয়েল, সঞ্জয় তালুকদার প্রমুখ। # ২৪.০৯.২০২২ চট্টগ্রাম #