চলমান সংবাদ

চট্টগ্রাম সংবাদ

খালাস না নেওয়া বন্দরের ৩৮২ কনটেইনার পণ্য ধ্বংস করছে কাস্টমস

আমদানির পরও নানা কারণে খালাস না হওয়া চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ৩৮২ কনটেইনার মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংস শুরু করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এসব পণ্যের মধ্যে আছে- আমদানি করা পচনশীল দ্রব্য আদা, আপেল পেঁয়াজ, কমলা, আঙুর, হিমায়িত মাছ, মহিষের মাংস, ড্রাগন ফল, মাছের খাদ্য, লবণ, কফি, সানফ্লাওয়ার অয়েল ও রসুন। এছাড়া কিছু মেয়াদোত্তীর্ণ রায়াসনিক দ্রব্যও আছে। রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর হালিশহরে আনন্দবাজার সিটি করপোরেশনের আবর্জনাগারে নিয়ে পণ্যগুলো ধ্বংস শুরু করা হয়। প্রথমদিনে রেফার কনটেইনারে থাকা ফলফলাদি ধ্বংস করা হয়েছে। কনটেইনারগুলো বছরের পর বছর বন্দরের মূল্যবান জায়গা দখল করে ছিল। পচনশীল পণ্য সুরক্ষায় রেফার কনটেইনারে বিদ্যুৎ সংযোগও দেওয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে শিপিং লাইনের কনটেইনারও আটকা পড়েছিল পণ্যের সঙ্গে। দীর্ঘদিন পর বন্দরে পড়ে থাকা পচা পণ্যভর্তি কনটেইনার খালি হওয়ায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে বন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট শিপিং লাইনগুলো। চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার তাপস সরেন জানিয়েছেন, এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এসব পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে ছিল। নানা জটিলতায় আমদানিকারক এসব পণ্য ছাড় করেননি। আবার বিভিন্নসময় উদ্যোগ নিয়েও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আইনি জটিলতায় সেগুলো নিলামে বিক্রি করতে পারেনি। ৩৮২ কনটেইনারে মোট ৯ হাজার মেট্রিকটন পণ্য আছে। প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০টি কনটেইনারের পণ্য ধ্বংসের মাধ্যমে ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ কার্যক্রম শেষ করা হবে। আর রাসায়নিক দ্রব্যগুলো সিলেটে নিয়ে ধ্বংস করা হবে। চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন শেড দখল করে থাকা এসব পণ্য ধ্বংসের ফলে বন্দরে কনটেইনার জট কমবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আদেশে নির্দেশে বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত কমিটি গত ২৯ আগস্ট এক সভায় বন্দরে পড়ে থাকা ৩৮২ কন্টেইনার পচনশীল পণ্য ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেয়। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ছাড়াও চট্টগ্রাম বন্দর, পরিবেশ অধিদফতর, জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, বিজিবি ও সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি রয়েছেন এ কমিটিতে।
# ১১.০৯.২০২২ চট্টগ্রাম #

চট্টগ্রামে হাত-পা বেঁধে গৃহবধূকে খুন

নগরীতে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (১১ সেপ্টম্বর) সকালে নগরের ইপিজেড থানার নিউমুরিংয় এলাকার একটি ভবনের ৫ তলায় ভাড়া বাসা থেকে শামীমা আক্তার (৫৫) নামে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা হাত-পা বেঁধে ওই নারীকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। নিহত শামীমা আক্তারের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানা এলাকায়। তিনি নগরের ইপিজেডের ওই ভাড়া ঘরে তার স্বামী জামাল উদ্দিনের সঙ্গে থাকতেন। তার স্বামী রাঙ্গামাটি জেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) কর্মরত। চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ-সিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সুলতানা বলেন, হত্যায় জড়িত তিনজনকে শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বাকি দুইজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তিনি আরও বলেন, স্বর্ণ, অলংকার, মোবাইল ইত্যাদি কারণে হত্যা করা হয়েছে। শামীমা আক্তারে কানের দুল, আংটি ও গলার স্বর্ণের চেইন উদ্ধার করা হয়েছে। শামীমা আক্তারের বোন এসব জিনিসপত্র শনাক্ত করেন। মরদেহ ময়নাতদন্ত জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক মর্গে পাঠানো হয়েছে। # ১১.০৯.২০২২ চট্টগ্রাম #