চলমান সংবাদ

বঙ্গোপসাগরে ১৬ ট্রলার-নৌকায় ডাকাতি, অস্ত্রসহ ১২ জলদস্যু গ্রেপ্তার

বঙ্গোপসাগরে ১৬টি ট্রলার-নৌকায় ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ১২ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭। গভীর সমুদ্রে এবং বাঁশখালীতে ৪৮ ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র, ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা মূল্যের তিন হাজার ইলিশ মাছ, মাছ ধরার জাল ও ডাকাতিতে ব্যবহৃত নৌকাও জব্দ করা হয়েছে। শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে র‌্যাব-৭ চান্দগাঁও ক্যাম্পের চট্টগ্রাম মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান র‌্যাব-৭’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বাঁশখালী উপজেলার আনসার মেম্বারের ছেলে আনোয়ার (মূলহোতা), কবির আহমদের ছেলে লিয়াকত (মাঝি), আব্দুল কাদেরের ছেলে মনির, আবুল খায়ের (ইঞ্জিন ড্রাইভার), নবীর হোসেন, নেজামউদ্দিন, হুমায়ুন, সাহেদ, সাদ্দাম, মো. আতিক, মো. এমরান ও আমানউল্লাহ। র‌্যাব জানায়, গত ২৭ আগস্ট সাগরে ৯টি মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে তদন্ত শুরু করে র‌্যাব। তদন্তের সময় র‌্যাবের কাছে খবর আসে জলদস্যুরা সাগরের বিভিন্ন বোটে ডাকাতি করছে। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব গভীর সমুদ্রে গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে। এতে দস্যুতার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ১২ জনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের বহনকারী ১টি বোট, ৩ হাজার পিস ইলিশ, মাছ ধরার রড় জাল, ৩টি ওয়ান শুটারগান, ১টি চাইনিজ কুড়াল, ১৬টি দা ও ছুরি, ১টি বাইনোকুলার, ৪টি টর্চ লাইট, ২টি চার্জ লাইট, ২টি হ্যান্ড মাইক, ৭০টি মোবাইল, নগদ ৫ হাজার ৭০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। ব্রিফিংয়ে র‌্যাব-৭ অধিনায়ক এম এ ইউসুফ বলেন, সাগরে বেশি মাছ না পাওয়ায় বোটের মালিক বাঁশখালী গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আনছার তার মাঝি-মাল্লাদের নিয়ে মূলত নব্য জলদস্যু বাহিনী তৈরি করেন। সে নিজেই মূল পরিকল্পনাকারী এবং নিজের ছেলেকে ডাকাত সর্দার বানিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য অল্প পরিশ্রমে মেশি মুনাফা আয় করা। তারা এখন পর্যন্ত মোট ১৬টি বোট ডাকাতি করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়। তারা তিনটি গ্রুপ একসাথে কাজ করতো। এ বাহিনীর একটি গ্রুপকে আনছার মেম্বার পরিকল্পনা জানাত। আরেকটি গ্রুপ ডাকাতি করা মাছ আড়তদারদের কাছে তা বিক্রি করতো। অপর গ্রুপ বোট ডাকাতির পাশাপাশি জেলেদের জিম্মি করে মুক্তিপন আদায় করতো। গ্রেপ্তার আনোয়ারের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা রয়েছে। এছাড়া প্রত্যেকেরই বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় জলদস্যুতা, সস্ত্রাসী, ডাকাতি, দুর্ধষ চাঁদাবাজী, হত্যাচেষ্টা এবং অপহরণকারী সংক্রান্তে একাধিক মামলা রয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পতেঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

# ১০.০৯.২০২২ চট্টগ্রাম #