চলমান সংবাদ

দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে সিপিবি’র বিক্ষোভ সমাবেশ

অব্যাহত দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আজ ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ শুক্রবার বিকাল ৬ টায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি,  পাথরঘাটা শাখা উদ্যোগে  পাথরঘাটা পাঁচবাড়ির মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সিপিবি পাথরঘাটা শাখার সম্পাদক  দেবাশীষ সেনের সভাপতিত্বে এবং অভিজিৎ বড়ুয়া’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সিপিবি, চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি অশোক সাহা, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ফরিদুল ইসলাম,  কোতোয়ালি থানার সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ চৌধুরী, জুয়েল বড়ুয়া, বিপ্লব দাশ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, জ্বালানি তেলসহ অব্যাহত দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত উর্ধ্বগতির কারণে গরীব, মধ্যবিত্ত, খেটে খাওয়া মানুষের জীবনে আজ নাভিশ্বাস। তাদের আয়ের সিংহভাগ চলে যাচ্ছে খাদ্যের যোগান দিতে। অথচ সরকারের কার্যকলাপে মনে হচ্ছে, গরীব-মেহনতি মানুষের জীবনযাত্রার এই সংকট তাদের কাছে কোনো বিষয়ই নয়। তারা আছে উন্নয়নের ফাঁকা বুলি নিয়ে। দুবেলা পেটে ভাত দিতে না পারলে, এত উন্নয়ন দিয়ে মানুষ কি করবে?’
দেশে আড়াই কোটি মানুষ বেকার ও তিন কোটি মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে। শ্রমিক ও কর্মজীবী মানুষদের মজুরি-বেতনও বাড়েনি। মানুষের ন্যূনতম বেঁচে থাকার জন্য যতটুকু প্রয়োজন সেই ক্রয় ক্ষমতাও তার নাগালের বাইরে চলে গেছে। সরকার মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।বর্তমান সরকার উন্নয়নের নামে সকল গণতান্ত্রিক কাঠামোকে ভেঙে ফেলেছে, নির্বাচন ও বিচার ব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। ‘বিনা ভোটের সরকার’ দেশের মানুষকে আজ ভাতে মারতে চলেছে।
বক্তারা আরো বলেন, দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি খুবই নাজুক। লুটপাটতন্ত্র, ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। কর্তৃত্ববাদী জীবন ব্যবস্থার যাঁতাকলে মানুষ পিষ্ট। দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো পদক্ষেপ লক্ষ্যই করা যাচ্ছে না। সাধারণ নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের জীবনধারণ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। গণতন্ত্রের সকল কাঠামো বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ভেঙ্গে দিয়েছে।
গতকাল নেত্রকোনার কলমাকান্দায়  সিপিবি’র জনসভায় পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের যৌথ হামলায়  তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন, যত দিন যাচ্ছে, সরকার আরও বেশি কর্তৃত্বপরায়ণ হয়ে উঠছে। এ কারণে যারা সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের পক্ষে ন্যায্য কথা বলে তাদের কণ্ঠরোধ করার জন্য ছাত্রলীগকে  মাঠে নামিয়ে দিয়েছে। কিন্তু হামলা-নির্যাতন চালিয়ে বাম প্রগতিশীল শক্তির কণ্ঠরোধ করা যাবে না। আমরা সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণের বিরুদ্ধে কথা বলে যাব। আমরা লুটপাটের বিরুদ্ধে,সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি রাখব।
দেশের সঙ্কটময় সময়ে কমিউনিস্ট পার্টিকে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে খুন-ধর্ষণ, গণতন্ত্রহীনতা, লুটপাট, বিচারহীনতা ও  দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি বিরুদ্ধে তীব্র গণসংগ্রাম গড়ে তুুুুলতে হবে।সেই লক্ষ্যে কোতোয়ালির প্রত্যেক ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বিভিন্ন গণসংগ্রাম গড়ে তোলার মত শক্তিশালী কমিউনিস্ট পার্টির কোন বিকল্প নেই।

# ১০/০৯/২০২২, চট্টগ্রাম #