চলমান সংবাদ

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিজ্ঞানশিক্ষা ও সংস্কৃতিচর্চার ভিত গড়ে দিলে একদিন তারা বিশ্বজয় করতে পারে- ড.প্রকাশ

শিশুদের মানসিক বিকাশে বিজ্ঞান, সৃজনশীলতা ও সাংস্কৃতিক শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হরিজন সম্প্রদায়ের শিশুরা সমাজে অপেক্ষাকৃত সুবিধাবঞ্চিত। তাদের চিত্রকলা প্রশিক্ষণ এবং বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক চর্চার ভিত গড়ে দিলে একদিন তারা বিশ্বজয় করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ড.প্রকাশ কান্তি চৌধুরী। শিশুদের মানসিক বিকাশ গঠনে এমন উদ্যোগের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এমন আয়োজন শিশুদের মাঝে অমিত সম্ভাবনা বিকশিত করবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যে নিরাপদ সমাজের ভিত গড়ে দেবে। সূর্য মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা ও সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সৃজনশীল বিকাশের লক্ষ্যে চিত্রাংকন ও বিজ্ঞান শিক্ষার আসর শুরু করা হয়েছে। শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ড.প্রকাশ কান্তি চৌধুরী। হরিজন সম্প্রদায়ের ৬০ জন শিশুকে ড্রইং খাতা, মোম রং, পেন্সিলসহ চিত্রকলা এবং ফুটবল দেয়া হয়। সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ আইরিন সাহা রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করে শিশুদের উজ্জীবিত করেন। চিত্রাংকন এবং বিজ্ঞান বিষয়ে শিশুদের আনন্দময় শিক্ষাদানের মাধ্যমে প্রথম ক্লাস নেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী গৌতম পাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা ব্যাংক চট্টগ্রামের রিজিওনাল ম্যানেজার নুরুল আরশাদ চৌধুরী, সূর্য সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ আইরিন সাহা এবং কাউন্সিলর রুমকী সেনগুপ্ত। বক্তব্য রাখেন এডাব সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, মুজিব স্মৃতি পরিষদ সংগঠক মো. আশরাফ হোসেন, ফটোসাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু এবং তাপস হোড়। সূর্য মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা ও সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান সুমি খান বলেন, একটি মুক্ত এবং বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্ম সমাজের জন্য অপরিহার্য। সমাজের অনগ্রসর গোষ্ঠীর সন্তানদের এগিয়ে নিতে বিজ্ঞানশিক্ষার এবং সংস্কৃতিচর্চার বিকল্প নেই। অতিথিবৃন্দ বলেন, উন্নততর মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে সমাজসচেতনতা বৃদ্ধির এমন আন্তরিক উদ্যোগ অনেককে নতুন দিকনির্দেশনা দেবে। # ০২.০৯.২০২২ চট্টগ্রাম #