শিল্প সাহিত্য

লীলা বতী’র কবিতা

– ফিনিক জোছনায় জানালা আটকেই আমি ঘুমুতে যাই

ওই যে মশাদের অত্যাচার।
এমন কি বর্ষার রাতে কদম হাতে আর ভেজা হয়না,
ছুঁয়ে দেখা হয়না বৃস্টি,
আমি তখন কাপড় ওঠাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি,
ছাদের কোনে ছোট্ট পাখিটার বাসা ভাংলো কিনা?
এসব কিছুই ভাবা হয়না।
রাতে ঠিকঠাক ঘুমুতে না পেরেও রিক্সা চেপে অফিস যাই,
কলিগদের কতো গল্প শুনতে হয়,
গয়না,শাড়ি, চুড়ি,
কারোর আবার ম্যারেজ এনিভারসারি,
ভীষণ ব্যথা বোধ হয় তাদের কথা ভেবে,
মানুষগুলোর কতো কথা অথচ জীবন খুবই ছোট,
জীবন এদের কথা খরচের সুযোগ দেয়না,
মরন ছিনিয়ে নেয় জমানো কথা।
হঠাৎ হঠাৎ প্রশ্ন আসে আমি উওর দিতে পারিনা,
বলে ফেলি কোনটা যেনো?
আমি ঠিক খেয়াল করিনি।
যাগগে থাক এসব…
নাগরিক কোলাহলে তবুও যে কোকিল কাঁদে,
সেও আমার মতোন বিষাদিত এবং একাকী,
ভাবতে অবাক লাগে,
একটি কোকিল ও মানুষ হুবহু একসুরে কাঁদতে জানে।
প্রিয় বই শেষ হয়ে যাওয়ার যে যন্ত্রনা আমায় পুড়িয়েছে,
এবং প্রতিনিয়ত পোড়ায়,
তুমিও কি তেমনি আমৃত্যু পুড়ছো?
মনে পড়ছে কি ৩৩বছর বয়সী বেশ্যার
লাল লিপস্টিক?
মরে যাওয়ার আগে তুমি খুন হয়েছিলে
,আমি দেখেছিলাম খুনি রঙ লিপস্টিক,
বিয়ে বাড়ির হট্রগোলেও শুনেছি ব্যথিত সানায়ের সুর,
দেখেছি ভোজন শেষে ফিরে গেছে ক্ষুধার্ত কুকুর,
তেমনি যায়,মানুষ ও কারো কাছে যায়,
অথবা কাওকে ছেড়ে যায়
মানুষ ছেড়ে গেলে ফেরানো যায়না,
ফেরাতেও নেই,
যাযাবর মানুষ অন্যের পৃথিবী নিয়ে,
নিজের পৃথিবী বানায়।।
ফিনিক জোছনায় আমি জানালা খুলিনা,
শহরে মশাদের বড্ড অত্যাচার….