চলমান সংবাদ

সম্পাদকীয়ঃ প্রশ্নবিদ্ধ জনশুমারি ও গৃহ গণনা

আজ বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। জনশুমারি ও গৃহগণনায় দেশের জনগোষ্ঠীর যে ফলাফল মিলেছে তা থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪, নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬। পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি। গত এক দশকে দেশে জনসংখ্যা বেড়েছে দুই কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার ৯১৯ জন। দেশে আদমশুমারির মাধ্যমে জনসংখ্যার যে পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে, তা বিশেজ্ঞ থেকে সাধারণ মানুষ কেউ বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করছে না । বিশেষ করে, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার মন্তব্যের কলাম বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক নেতিবাচক ও বিরূপ মন্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। নতুন হিসাব অনুযায়ী ঢাকা উত্তর সিটির জনসংখ্যা ৫৯ লাখ ৭৯ হাজার ৫৩৭ জন। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটির জনসংখ্যা ৪২ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪৫। সব মিলিয়ে ঢাকা শহরে ১ কোটি ২ লাখের বেশি মানুষ বসবাস করে। অথচ অনেকেরই ধারণা ঢাকার জনসংখ্যা দুই কোটির কাছাকাছি।

জনশুমারি ও গৃহ গণনার পর থেকেই অনেকেই অভিযোগ করেছেন, তাদের গোটা বিল্ডিংয়ে কোন বাসায়ই গণনার জন্য কেউ আসেনি। কেউবা অভিযোগ করছেন পুরো আবাসিক এলাকাতেই আদম শুমারীর জন্য কেউ আসেনি। এই বিষ্যগুলির একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান না করে যেনতেন ভাবে ফলাফল ঘোষনা করা উচিৎ হয়নি বলেই বিশেষজ্ঞ মহল মনে করেন।

আমাদের মনে রাখতে হবে, দেশের মোট জনসংখ্যার তথ্যে-উপাত্তের উপর ভিত্তি করে নানা-রকম গবেষণা, পরিকল্পনা, অর্থনৈতিক নানা রিপোর্ট বা প্রকল্পের কাজ ইত্যাদি করা হয়। সেখানে যদি আসলেই কোন বড় রকমের তথ্য-বিভ্রম বা সন্দেহজনক হয় তা মোটেই মেনে নেয়া যায়না। সরকারের এত এত অর্থ ব্যয় করে এমন একটা প্রশ্নবোধক পরিসংখ্যান তৈরি করা সত্যিই দুঃখজনক।