চলমান সংবাদ

ভীতি দূর করে পুলিশ বাহিনীকে জনগণের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যয় সিএমপি’র নতুন কমিশনারের

পুলিশভীতি দূর করে চট্টগ্রামের পুলিশ বাহিনীকে প্রকৃত অর্থে জনগণের বন্ধু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সচেষ্ট থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ-সিএমপি’র নবনিযুক্ত কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়। তিনি বলেন, আমি পুলিশভীতি দূর করে চট্টগ্রামের পুলিশ বাহিনীকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। পুলিশ প্রকৃত অর্থে যাতে জনগণের বন্ধু হতে পারে সেলক্ষ্যে সিএমপি পুলিশ কাজ করবে।

শনিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের ভুল-ত্রুটি হতে পারে। সাধারণ মানুষের পরিচিতি পোশাকে দেখা যায় না। কিন্তু পুলিশ পোশাকেই পরিচিত। আমরা এই পোশাককে ভালো কাজের সুযোগ হিসেবে নিতে চাই। আর এক্ষেত্রে সাংবাদিকরা আমাদের কাজের অনন্য অনুপ্রেরণাকারী হিসেবে কাজ করেন। ভালো কাজের সংবাদ মিডিয়ায় আসলে পুলিশ অনুপ্রেরণা পায়। নাগরিকদের কাছে যেতে হলে অবশ্যই সাংবাদিকদের সহযোগিতা লাগবে কারণ নাগরিকদের বিশেষ প্রতিনিধি হলেন সাংবাদিক। তাই আগামীতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন নতুন সিএমপি কমিশনার।

পুলিশ কমিশনার আরো বলেন, এই উপমহাদেশে ১৮৬১ সাল থেকে কাজ করছে পুলিশ। বর্তমান আইজিপি পুলিশের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছেন। আমরা এই মাত্রা শুন্যে আনার জন্য কাজ করছি। একইসঙ্গে মাদক নিয়ন্ত্রণে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। জনগণের সেবা করতে হলে পুলিশকে অবশ্যই পেশাদার এবং মানবিক আচরণ করতে হবে। এর মাধ্যমে পুলিশভীতি দূর করে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে।

সিএমপি কমিশনার বলেন, সিএমপি’র ১৬ টি থানায় মাসে গড়ে পাঁচ শতাধিক মামলা হয়। পুলিশের মাসিক অপরাধ দমন বৈঠকে কোন থানায় কতটি মামলা হলো, তা নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু মামলা বেশি-কমে জনগণের কিছু যায় আসে না। মূল কথা হচ্ছে, পুলিশের কাজ মানুষের পছন্দ হতে হবে। সিঙ্গাপুর-ইংল্যান্ডে আমরা বেড়াতে গেলে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়াতে পারি। কিন্তু আমাদের শহরে এখনো নির্বিঘেœ ঘুরতে পরি না। সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস বলেন, বর্তমান পুলিশ কমিশনার প্রধানমন্ত্রীর ¯েœহভাজন চৌকষ অফিসার। একাধিক পুরস্কার অর্জনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে তিনি তা প্রমাণ করেছেন। এতো ব্যস্ততার মাঝেও তিনি প্রেস ক্লাবে এসেছেন। আমাদের সময় দিয়েছেন। সেইজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। তিনি ইতোপূর্বেও চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। যে কারণে অধিকাংশ সাংবাদিকদের পরিচিত মুখ। তিনিও ব্যক্তিগতভাবে অনেক সাংবাদিককে চেনেন। তিনি চট্টগ্রামের পুলিশকে জনবান্ধব বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলে প্রধানমন্ত্রীর মুখ উজ্জ্বল করবেন। চট্টগ্রামের নিয়ন্ত্রিত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরো উন্নত করবেন- এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ। যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা। বক্তব্য রাখেন বিএফইউজে’র সভাপতি শহীদ উল আলম এবং সিইউজে’র সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে অতিথিকে প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা এবং সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

# ২৩.০৭.২০২২ চট্টগ্রাম #