চলমান সংবাদ

কর্মচারীকে খুনের পর সড়ক দুর্ঘটনা বলে প্রচার, তদন্ত করছে পুলিশ

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে কবির হোসেন (২৭) নামে এক কর্মচারীকে হত্যার পর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে জানিয়ে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছিল। মরদেহ গোসলের সময় মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশকে খবর দেন স্বজনেরা। তথ্য পেয়ে দাফনের আগমুহূর্তে পুলিশ লাশটি হেফাজতে নেয়। এ ঘটনা ফটিকছড়িতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, ফটিকছড়ির এক লেবু ব্যবসায়ী তার কর্মচারী কবির হোসেনকে হত্যার পর ‘দুর্ঘটনায় মৃত্যু’ বলে চালানোর চেষ্টা করেন। গতকাল রোববার (১৭ জুলাই) সকালে উপজেলার ভুজপুর থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। নিহত কবির হোসেন ফটিকছড়ি উপজেলার বাগানবাজার ইউনিয়নের পূর্ব পাতাছড়ি গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি একই ইউনিয়নের বাসিন্দা লেবুর পাইকারি বিক্রেতা ইসমাইল হোসেন নিশু’র (৩২) অধীনে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। ভুজপুর থানার ওসি হেলাল উদ্দিন ফারুকী জানান, ব্যবসায়ী ইসমাইল কর্মচারী কবিরকে শনিবার রাত ৮টার দিকে ফোন করে দাঁতমারা ইউনিয়নের বালুটিলা বাজারে যেতে বলেন। কবিরের পরিবারের সদস্যদের রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইসমাইল ফোনে জানান, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কবির গুরুতর আহত হয়েছেন। চিকিৎসার জন্য কবিরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। দ্বিতীয়বার ইসমাইল ফোন করে রাত পৌনে ১২টার দিকে জানান, কবিরের মৃত্যু হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সে করে কবিরের মরদেহ মিরসরাই উপজেলার করেরহাট এলাকায় এনে রাত সাড়ে ১২টার দিকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন ইসমাইল। তিনি জানান, দুর্ঘটনায় মৃত্যু মেনে নিয়ে পরিবারের সদস্যরা কবিরের মরদেহ রাতে বাড়িতে নিয়ে যান। রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মরদেহ গোসল দিয়ে বাড়িতে দাফনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছিল। গোসলের সময় মরদেহের মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশকে খবর দেন স্বজনেরা। মরদেহটি উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক’র মর্গে পাঠানো হয়। ওসি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে কবিরকে মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে এবং বাম পায়ের গোড়ালির রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। কবিরের মালিক ইসমাইলকে আমরা খুঁজছি। ইসমাইলকে খুঁজে পেলে হত্যাকান্ডের রহস্য জানা যাবে। # ১৮.০৭.২০২২ চট্টগ্রাম #