চলমান সংবাদ

গরু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পথে পথে চাঁদাবাজির অভিযোগ

এবার চাহিদার চেয়ে কোরবানির পশু বেশি। সরকারি হিসেব বলছে দেশে এবার কোরবানির জন্য ৯৭ লাখ ৭৫ হাজার গরু-ছাগলের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু প্রস্তুত আছে এক কোটি ২৫ লাখ ২৪ হজার। তাই দাম সহনীয় থাকার আশা করা হলেও তা হয়তো থাকবে না। কারণ পথে পথে চাঁদাবাজি শুরু হয়েছে। সিরাজগঞ্জ থেকে নয়টি গরু নিয়ে ঢাকার তেজগাঁও পশুর হাটে এসেছেন মোহাম্মদ আকাশ বেপারি। তিনি বলেন,”ট্রাকে করে ঢাকায় গরু আনতে পথে মোট ছয় জায়গার চাঁদা দিতে হয়েছে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা। যারা চাঁদা নিয়েছে তারা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা বলে দাবি করেছেন। তারা লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে থাকেন।  আর হাটের নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনাও ভাল না। আমরা আতঙ্কে আছি।”

তিনি নয়টি গরু ২৫ লাখ টাকায় বিক্রির আশা করছেন। প্রতিবছরই তিনি কোরবানির পশুর হাটে গরু নিয়ে আসেন।

কুষ্টিয়া থেকে গরু নিয়ে ঢাকার কমলাপুর হাটে আসা আরিফুর রহমানও একই ধরনের অভিযোগ করেন। তিনি বলেন,”হাটে কেউ এখনো চাঁদা না নিলেও আমাদের পথে পথে চাঁদা দিয়ে আসতে হয়েছে।”

নৌপথে যে গরু আসছে সেই গরুর বেপারিরা রয়েছেন সবচেয়ে বেশি নিরপত্তা ঝুঁকিতে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেঘনা নদীর বরিশালের মুলাদি উপজেলার লালবয়া এলাকার নদীতে ডাকাতির খবর পাওয়া গেছে। ডাকাত দল বেপারিদের ট্রলারে হানা দিয়ে ৩০ লাখ টাকা নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা লক্ষীপুরে কোরবানির পশু বিক্রি করে বরিশালে মেহেন্দিগঞ্জে ফিরছিলেন।

এদিকে করোনায় পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া হলেও কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।

সুত্রঃ ডয়চে ভেলে