কোরবানির ঈদে সিএমপির ৫ স্তরের নিরাপত্তা বলয়

টহলে বোম্ব ডিসপোজল টিমসহ বিশেষ বাহিনী আসন্ন কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম মহানগরে ৫ স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ-সিএমপি। ঈদ আনন্দ নির্বিঘœ করতে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিএমপির বোম ডিসপেজল ইউনিটসহ বিশেষায়িত সব বাহিনী মাঠে নামানো হচ্ছে। চালু করা হচ্ছে ৫টি সাব-কন্টোল রুম। ড্রোনসহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে নগরীর ৮টি থানা এলাকার ১১টি গরু বাজারের নিরাপত্তা তদারকি করা হচ্ছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নাগরিকদের সহযোগিতা চেয়ে সিএমপি নাগরিকদের কিছু নির্দেশনাও দিয়েছে। বিশেষ করে ঈদ উদযাপন করতে গিয়ে রাতে উচ্চশব্দে গান বাজনার বিষয়ে পুলিশের কাছে কেউ অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেওয়ারও হুশিয়ারি দিয়েছেন সিএমপি কমিশনার। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) দুপুরে সিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সিএমপি কোরবানির পশুর হাটের নিয়মিত নিরাপত্তা দিচ্ছে। থানার নিয়মিত মোবাইল টহল, ট্রাফিক ব্যবস্থা, জাল নোট সনাক্তকরণ বুথ, সাদা পোশাকে পুলিশী টহল, টাকা পরিবহনে নিরাপত্তা দিচ্ছে। ঈদে কেউ পুরো বাড়ি খালি করে গ্রামে যাবেন না। আমাদের গোয়েন্দা বিভাগের মোবাইল টিম, বোম্ব ডিসপোজাল টিম, সুইপিং টিম, স্ট্রাইকিং রিজার্ভ, কুইক রেসপন্স টিমের পাশাপাশি মাঠে আছে র‌্যাব। ক্রাইম সিন ভ্যান এবং ফায়ার সার্ভিসও রয়েছে। প্রতিটি থানা তো ২৪ ঘন্টা নাগরিক সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছেই। সাথে অলংকার বাস স্ট্যান্ড, নতুন রেলওয়ে স্টেশন, বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল, একে খান মোড়, কর্ণফুলী ব্রিজ গোলচত্বরে আমরা আরও ৫টি অস্থায়ী সাব-কন্ট্রোল রুম চালু করেছি। সংবাদ সম্মেলনে সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা এবারের ঈদে পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ৫টি বিষয় নির্ধারণ করেছি। সেগুলো হলো- কোরবানির পশুর নিরাপত্তা, বাস স্ট্যান্ড, নৌ ঘাট, রেলওয়ে ও মার্কেট কেন্দ্রীক নিরাপত্তা, ঈদ জামাতের নিরাপত্তা, পশুর চামড়া ক্রয়-বিক্রয়ের নিরাপত্তা ও ঈদ পরবর্তী সময়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও আবাসিক এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।’ পশুর হাট কেন্দ্রিক বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে উল্লেখ সিএমপি কমিশনার বলেন, পশুবাহী ট্রাক জোরপূর্বক যেন কোন হাটে কেউ নিতে বাধ্য না করতে পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অনুমোদিত হাট এবং অবৈধ খুঁটির ব্যবসা যেন কেউ করতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও নগদ অর্থ পরিবহনে পুলিশি এস্কর্টের ব্যবস্থা রয়েছে। ঈদ জামায়াতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জমিয়াতুল ফালাহ্ জাতীয় মসজিদ ও আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ এবং বড় ঈদ জামায়াতে সিএমপি কেন্দ্রীয়ভাবে নিরাপত্তা প্রদান করবে। এছাড়া অন্যান্য মসজিদে ঈদ জামায়াতের নিরাপত্তা থানা ও ফাঁড়ি থেকে প্রদান করবে। ট্রাক কিংবা মিনি ট্রাকে সাউন্ড বক্স ভাড়া করে উচ্চ শব্দে গান বাজানো ডিজে আয়োজকদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও সাবধান করা হয়। তিনি বলেন, ‘ঈদুল আজহা উপলক্ষে গরুর বাজার ও চামড়া ক্রয়-বিক্রয়কালে নগরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশের নাইট পেট্রোল ও অতিরিক্ত টহলের ব্যবস্থা থাকবে। ঈদে দর্শনীয় স্থানগুলো খোলা থাকবে। প্রত্যেকের আনন্দ-উৎসবে অংশ নেওয়ার অধিকার আছে। তবে এটি যেন কখনোই সীমা ছাড়িয়ে না যায়। রাতে উচ্চশব্দে গান বাজনার বিষয়ে পুলিশের কাছে কেউ অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এ সময় সিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. শামসুল আলম, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ ও অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) সানা শামিনুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। # ০৭.০৭.২০২২ চট্টগ্রাম #