চলমান সংবাদ

রাত ৮টার পর দোকান বন্ধ হলে কী পরিমাণ বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে?

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে প্রতিদিন অন্তত দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব।

পাশাপাশি, ঐ পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যে পরিমাণ জ্বালানি প্রয়োজন হত, সেই জ্বালানির খরচও সশ্রয় হবে বলে মন্তব্য করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয়ের গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ারসেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন।

মি. হোসাইন বলেন, “আমাদের পর্যবেক্ষণে আমরা দেখেছি, সন্ধ্যা ছয়টার পর বিদ্যুতের চাহিদা তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট বেড়ে যায়। বিদ্যুতের চাহিদার এই পরিবর্তন মূলত হয় সন্ধ্যার পর বাতি জ্বালানোর কারণে।”

“সন্ধ্যার পর বিদ্যুতের এই বাড়তি চাহিদা যে শুধু দোকানপাট চালু থাকার জন্য তৈরি হয় তা নয়, মানুষের ঘরবাড়ির বাতিও একটি কারণ। তবে আমাদের হিসেবে, দোকানপাট বন্ধ থাকলে প্রায় অতিরিক্ত চাহিদার ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।”

মি. হোসাইনের মতে এর ফলে প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব।

সন্ধ্যার পর বিদ্যুতের অতিরিক্ত চাহিদা সামাল দিতে যেই বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হয়, তার উৎপাদন খরচও অনেক বেশি।

“আর এই বাড়তি চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুতের যোগান দিতে আমাদের তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালাতে হয়, যার ফলে বিদ্যুতের দামও অনেকগুণ বেড়ে যায়”, বলেন মি. হোসাইন।

“গ্যাস ব্যবহার করে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ পড়ে তিন থেকে চার টাকা, যেখানে ডিজেল চালিত বিদ্যুতের দাম পড়ে প্রতি ইউনিট ত্রিশ টাকারও বেশি। আবার ফার্নেস অয়েল চালিত বিদ্যুতের দাম পড়ে পনের থেকে বিশ টাকা।”

সন্ধ্যার পর থেকে দোকানপাট বন্ধ থাকলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের এই অতিরিক্ত খরচও সাশ্রয় করা সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেন মি. হোসাইন।

# ২১/০৬/২০২২, ঢাকা #