চলমান সংবাদ

চট্টগ্রামের চেরাগীতে যুবলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৫

নগরীর চেরাগী পাহাড় এলাকায় যুবলীগের দুটি গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্রীয় যুবলীগের ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে চেরাগীতে নিজেদের মধ্যে সংর্ঘষে জড়ায় এ দুটি গ্রুপ। শনিবার (৪ জুন) দুপুর ১২টার দিকে চেরাগী পাহাড়ের আজাদীর গলির মুখে দুই পক্ষ এই সংঘর্ষে জড়ায়। এতে ৫ জন যুবলীগ কর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক)হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি ও কটূক্তির প্রতিবাদে আয়োজিত যুবলীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি শেষে আসন্ন মহানগর কমিটিতে পদ পত্যাশী দুই যুবলীগ নেতার অনুসারীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। বিবাদে জড়িয়ে পড়া দু’টি পক্ষের একটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম রসুল নিশান আর অন্যটি সিআরবি জোড়া খুনের মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ও বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল আলম লিমনের অনুসারী। দুইজনই চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের কমিটিতে পদ প্রত্যাশী। এছাড়া তারা সাবেক সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। স্থানীয়রা জানান, মিছিল ও সমাবেশ শেষ করে নিশান ও তার গ্রুপের অনুসারী ১০-১৫জন চেরাগী পাহাড়ের আজাদী গলিতে আড্ডা দিচ্ছিল। এসময় লিমন গ্রুপের অনুসারী ৫০-৬০জন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। দুইগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। আহতরা হলেন আকবরশাহ থানার যুবলীগ কর্মী মো. সোহেল (২৮), মো. রাসেল (২৮), মো. ফয়জুল আকবর(২৫)। তারা চমেক হাসপাতালের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়া চমেক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে আরও কয়েকজন। আহতরা সবাই নগর যুবলীগের কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী। হামলার বিষয়ে গোলাম রসুল নিশান বলেন, কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা বিক্ষোভ মিছিল শেষ করে আমরা চেরাগী পাহাড়ের আজাদী গলিতে এসে দাঁড়িয়েছিলাম। এমন সময় বহিষ্কৃত ছাত্রনেতা সাইফুল আলম লিমন ও তার দলবল আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় আমাদের ৬-৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এর মধ্যে সোহেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি বলেন, সামনে যুবলীগের কমিটি হবে। আমি এতে পদ প্রত্যাশী। তাই আমাকে মাইনাস করতে পরিকল্পিত এই হামলা চালানো হয়েছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করলে হামলাকারীদের শনাক্ত করা যাবে। আহতদের চিকিৎসা শেষে আমি থানায় মামলা করবো। এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানা ওসি জাহিদুল কবীর বলেন, দুপুরের আগে করে নগরীর চেরাগী পাহাড়ের আজাদী গলিতে দুই যুবলীগ নেতার অনুসারীর মারামারি হয়েছে। তবে এঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। থানায় অভিযোগ করলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

# ০৪.০৬.২০২২ চট্টগ্রাম #