স্বাস্থ্য

মাংকিপক্সঃ গুটিবসন্তের ভ্যাকসিন “ইমভেনেক্স” (জিনিওস), মাংকিপক্সের বিরুদ্ধে ৮৫% কার্যকর

-ডাঃ এ, কে, এম, আরিফ উদ্দিন আহমেদ

ছবিঃ ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপে দেখা মাংকিপক্স ভাইরাস।

 

বাংলাদেশে এখনও খোঁজ মেলেনি মাংকিপক্সের, তবে সাবধান হতে হবে এখন থেকেই। ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্য ও স্পেনসহ ১৬টি দেশে অন্তত ১৬১ জনের মাংকিপক্স শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ মে ২০২২ গ্লোবাল ডট হেলথের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার দুর্গম অঞ্চলে হাজারো মানুষকে মাংকিপক্সে আক্রান্ত হতে দেখা গেছে। তবে আফ্রিকার বাইরে ইউরোপ, আমেরিকায় কিছু দিন আগেও এর প্রাদুর্ভাবের কথা শোনা যায়নি। এখন যাদের মাংকিপক্স হচ্ছে তারা কোথা থেকে সংক্রমিত হচ্ছে – তাও স্পষ্ট নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এই সংক্রমণ অস্বাভাবিক। কারণ এগুলো এমন দেশে ঘটছে যেগুলো এ ভাইরাসটির স্বাভাবিক আবাসস্থল নয়।

 

সম্প্রতি আফ্রিকার বাইরে প্রথম মাংকিপক্সে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় যুক্তরাজ্যে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫৬ জনের এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া স্পেনে ৪১ জন, পর্তুগালে ৩৭ জন, কানাডায় ৫ জন, ইতালিতে ৪ জন, বেলজিয়াম ও জার্মানিতে ৩ জন করে, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাষ্ট্রে ২ জন করে মাংকিপক্সে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর বাইরে অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, ইসরায়েল, সুইডেন এবং সুইজারল্যান্ডে ১ জন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।

১৯৫৮ সালে প্রথম ড্যানিশ ল্যাবরেটোরিতে একটি বন্দী বানরের মধ্যে এ ভাইরাসটি আবিষ্কৃত হয়। মানুষের মধ্যে এ ভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয় ড্যামোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কংগোতে ১৯৭০ সালে। এর দুটি ধরনের মধ্যে একটি হলো পশ্চিম আফ্রিকান অপরটি মধ্য আফ্রিকান। এ ক্ষেত্রে, পশ্চিম আফ্রিকান (৩.৬%) ধরনের তুলনায় মধ্য আফ্রিকান (১০.৬%) ধরনে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি। ১৯৭০ সাল থেকে আফ্রিকার ১০টি দেশে বিক্ষিপ্তভাবে প্রাদুর্ভাবের খবর পাওয়া গেছে। ২০০৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল। এটি ছিল আফ্রিকার বাইরে প্রথম সংক্রমণ। প্রেইরি প্রজাতির কুকুরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ থেকে এর সংক্রমণ হয়। ৮১টি সংক্রমণের তথ্য রেকর্ড হলেও কোনও মৃত্যুর রেকর্ড পাওয়া যায়নি। ২০১৭ সালে এই ভাইরাসের রেকর্ড প্রাদুর্ভাব নাইজেরিয়ায় দেখা দেয়। সেখানে ১৭২ জন সন্দেহভাজন রোগী ছিল। এদর মধ্যে ৭৫% রোগী ছিল ২১ থেকে ৪০ বছর বয়সী পুরুষ।

করোনাভাইরাস মহামারির অভিজ্ঞতার পর মাংকিপক্সের  খবর শুনে যারা উদ্বিগ্ন বোধ করছেন তাদের স্পষ্ট করে দেয়া দরকার যে এটা কোভিডের মত কিছু নয়। এ ভাইরাস একজন থেকে আরেকজনের দেহে ছড়াতে অনেকটা সময়ের জন্য ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসার দরকার হয়। তবে যে ব্যাপারটা বিশেষজ্ঞদের বিস্মিত করেছে তা হলো – আগে কারো মাংকিপক্স হলে তার সাথে পশ্চিম বা মধ্য আফ্রিকার সংযোগ সহজেই বের করা যেতো। কিন্তু এবার এই প্রথমবারের মত ভাইরাসটি এমন লোকের মধ্যে দেখা যাচ্ছে যাদের সাথে ওই দুটি অঞ্চলের কোন স্পষ্ট যোগাযোগ দেখা যাচ্ছে না। এখন যাদের মাংকিপক্স হচ্ছে তারা কোথা থেকে সংক্রমিত হচ্ছে – তাও স্পষ্ট নয়। তাই ভাইরাসটির আচরণে কোন পরিবর্তন হয়ে থাকলে তা সবসময়ই বিজ্ঞানীদের উদ্বিগ্ন করে। তাই ধারনা করা হচ্ছে এই ভাইরাসটির নতুন কোন ধরন, মানুষের দেহে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে, যা আরো পরীক্ষা নিরীক্ষার পর সুস্পষ্ট করা যাবে।

মাংকিপক্স সংক্রমিত হতে পারে পশু থেকে। ইঁদুর, কাঠবেড়ালির ত্বক বা তাদের আঁচড় থেকে এই পক্স হতে পারে। এছাড়াও এই প্রাণীগুলির রক্ত থেকে এই সমস্যা দানা বাঁধতে পারে। তবে যদি সেই প্রাণী নিজে এই রোগে আক্রান্ত থাকে, তবেই প্রাণী থেকে এই রোগ ছড়াতে পারে। এছাড়াও আক্রান্ত মানুষ থেকে অন্য মানুষের মধ্যেও এর সংক্রমণ হতে পারে, বিশেষ করেঃ

– মাংকিপক্স আক্রান্তের সর্দি, কাশি থেকে এই রোগ ছড়িয়ে যায়। আক্রান্তের সংগে অনেকক্ষণ মুখমুখি কথা বললে এই রোগ ছড়িয়ে যেতে পারে।

– সঙ্গমের থেকেও এই রোগ ছড়িয়ে যাচ্ছে। সংগমকালে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে যায়।

– এছাড়াও ভাইরাস রয়েছে এমন কোনও জিনিস, বা পোশাক, ভাইরাস আক্রান্তের রক্ত থেকে ছড়িয়ে যায় এই রোগ।

যারা মাংকিপক্সে সংক্রমিত হচ্ছেন তাদের অনেকেই সমকামী বা উভকামী তরুণ বা যুবক। যৌন ক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে মাংকি পক্স ছড়াচ্ছে এবং আক্রান্তদের বেশিরভাগেরই যৌনাংগ এবং তার আশপাশের জায়গায় গুটি হতে দেখা যাচ্ছে। কেন সমকামী-উভকামী পুরুষরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন তা স্পষ্ট নয়। এটা কি শুধুই ঘটনাচক্রে এমন হচ্ছে, নাকি যৌন আচরণের ফলে ভাইরাসটি সহজে ছড়াতে পারছে – তাও স্পষ্ট নয়। তবে বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই বিরল রোগের সংগে সমকামীদের কোনো সম্পর্ক এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন।

মাংকিপক্স সংক্রমিত কারো ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এলে তা অন্যের দেহে ছড়াতে পারে। ফাটা বা কাটা চামড়া, চোখ, নাক বা মুখ দিয়ে মানুষের দেহে ঢুকতে পারে মাংকিপক্স ভাইরাসটি। এটিকে আগে যৌনসম্পর্কবাহিত রোগ বলে চিহ্নিত করা হয়নি। কিন্তু বলা হচ্ছে যে যৌনমিলনের সময় ভাইরাসটি সরাসরি একজন থেকে আরেকজনের দেহে চলে যেতে পারে। ব্রিটেনের চিকিৎসকরা এর মধ্যেই সতর্ক করে দিয়েছেন যে মাংকিপক্স সেদেশের যৌনস্বাস্থ্য সেবার ওপর বড় রকমের প্রভাব ফেলতে পারে, এবং এধরনের কিছু ক্লিনিকের কর্মীদেরকে এর মধ্যেই গুটিবসন্তের টিকা দেয়া হয়েছে।

         ছবিঃ মাংকিপক্স ভাইরাস যেভাবে ছড়ায়

মাংকিপক্সের লক্ষণগুলো অনেকটা স্মলপক্স বা গুটিবসন্তের মতো। তবে স্বস্তির বিষয় হলো, এটি স্মলপক্স থেকে কম সংক্রামক এবং কম গুরুতর। ২ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যেই রোগী আরোগ্য লাভ করে। এ ছাড়া মৃত্যুহারও কম। এটি একটি ডিএনএ জাতীয় ভাইরাস – এবং কোভিড বা ফ্লু ভাইরাসের মত সহজে বা দ্রুতগতিতে এর মিউটেশন বা রূপান্তর ঘটে না। যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (সিডিসি) এর তথ্য অনুযায়ী, মাংকিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির মুখ ও শরীরে চিকেন পক্সের মতো ফুসকুড়ি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার আগে ফ্লুর মতো উপসর্গ যেমন জ্বর, পেশিতে ব্যথা এবং টনসিল হতে পারে।

ছবিঃ মাংকিপক্স এর গুটির চেহারা যেভাবে পরিবর্তিত হয়

মাংকিপক্সের  উপসর্গ:

মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হওয়ার সাধারণত ৬ থেকে ১৩ দিনের মধ্যে, ক্ষেত্রবিশেষে ৫ থেকে ২১ দিনের মধ্যে প্রথম লক্ষণ প্রকাশ পায়। এতে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, মাথাব্যথা, মাংসপেশি ব্যথা, পিঠে ব্যথা, অবসাদগ্রস্ততা এবং দুর্বলতা দেখা যায়। তবে গুটিবসন্ত থেকে এর প্রধান পার্থক্য হল এতে লসিকাগ্রন্থি বা লিম্ফ নোড (গলায়, বোগলে ও কুঁচকিতে কিছু গ্রন্থি) ফুলে ওঠে।

সাধারণত প্রথম লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার ১ থেকে ৩ দিনের মধ্যে শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দেয়, প্রথমে মুখে এবং পরে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি মাংকিপক্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে যৌনাংগ এবং পায়ুপথের আশপাশে ফুসকুড়ি সবচেয়ে বেশি লক্ষ করা গেছে। এ ফুসকুড়িগুলো পরে ফোসকায় পরিণত হয় এবং প্রচণ্ড পরিমাণে চুলকানি ও ব্যথা হয়।

মাংকিপক্সের  উপসর্গ প্রকাশ পেলে আক্রান্ত ব্যক্তি সংক্রামকে পরিণত হয় অর্থাৎ অন্যদের মধ্যে এ রোগ ছড়িয়ে দিতে পারে। সাধারণত ২ থেকে ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত এ রোগটি স্থায়ী হয় এবং রোগী নিজ থেকেই সেরে ওঠে। এ রোগের উপসর্গগুলো সাধারণত মৃদু আকারে প্রকাশ পায়, তবে ক্ষেত্রবিশেষে শিশু, গর্ভবতী বা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের জন্য এ রোগটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে, এ রোগে মৃত্যুহার ৩-৬%।

জটিলতা:

কোনো কোনো ক্ষেত্রে মাংকিপক্সের  কারণে শরীরে কিছু জটিলতা দেখা যায়। যেমন-শরীরের বিভিন্ন অংগে (ফুসফুস, ব্রেইন ও চোখ) ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়তে পারে। চোখের কর্ণিয়ায় ইনফেকশন ছড়িয়ে গেলে রোগী দৃষ্টিশক্তিও হারিয়ে ফেলতে পারে।

চিকিৎসা:

কারো শরীরে ফুসকুড়ি এবং সঙ্গে জ্বর, অবসাদ্গ্রস্ত কিংবা অস্বাভাবিক দুর্বলতা দেখা দিলে তাকে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মাংকিপক্স ভাইরাসের পরীক্ষা করাতে হবে। মাংকিপক্স শনাক্তের ক্ষেত্রে পিসিআর পরীক্ষাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য। এক্ষেত্রে ত্বকের ক্ষত স্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এ ছাড়া বায়োপসির মাধ্যমেও এ রোগটি নির্ণয় করা সম্ভব। মাংকিপক্স ভাইরাস এ সাস্পেক্টেড অথবা পুরোপুরি নিশ্চিতভাবে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অবশ্যই শরীরের ফুসকুড়ি ঝরে যাওয়া পর্যন্ত আলাদা অবস্থান করতে হবে এবং সব ধরনের শারীরিক মেলামেশা থেকে বিরত থাকতে হবে। মাংকিপক্স রোগের প্রকোপ কমাতে চিকিৎসকের দেওয়া পরামর্শ মেনে চলতে হবে। এ ছাড়া, আক্রান্ত ব্যক্তির সেবাদানকারীকে অবশ্যই যথাসম্ভব নিজেকে সুরক্ষার কলাকৌশল অবলম্বন করতে হবে।

মাংকিপক্সের কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। তাই এ রোগে আক্রান্ত হলে যেসব লক্ষণ প্রকাশ পায়, সেগুলো কমানোর জন্য চিকিৎসক ওষুধ প্রদান করে থাকেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, গুটিবসন্তের ভ্যাকসিন “ইমভেনেক্স” (জিনিওস), মাংকিপক্সের বিরুদ্ধে ৮৫% কার্যকর। যুক্তরাজ্যে “ইমভেনেক্স” টিকাকে পোস্ট-এক্সপোজার প্রফাইল্যাক্সিস হিসাবে ব্যবহার করা শুরু করেছে। এই প্রাদুর্ভাবের সময় এই টিকা কার্যকর হবে না এমন কোন ইঙ্গিত নেই। এ ছাড়া অনেক দেশে অ্যান্টিভাইরাল এবং ইমিউনোগ্লোবিন ব্যবহৃত হচ্ছে। যদিও এর কার্যকারিতা সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

মাংকিপক্স প্রতিরোধে করণীয়:

মাংকিপক্স ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো যথাযথভাবে মেনে চলা প্রয়োজন।

# মাংকিপক্সের উপসর্গ রয়েছে এমন ব্যক্তির খুব কাছাকাছি থেকে কথা বলা এবং শারীরিক সংস্পর্শ পরিহার করা।

# কোনো পরিবারে কেউ আক্রান্ত হলে, তাকে আলাদা রুমে রাখা এবং পরিবারের সবার মাস্ক ব্যবহার করা।

#  যথাসম্ভব যৌন মেলামেশা এড়িয়ে চলা, বিশেষ প্রয়োজনে কনডম ব্যবহার করা।

# মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত কোনো দ্রব্যাদির সংস্পর্শ থেকে বিরত থাকা।

# যেহেতু শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে, সেহেতু সার্জিক্যাল মাস্ক পরিধান করা।

# নিয়মিত সাবান অথবা অ্যালকোহল সম্পন্ন হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করা।

# রান্নার সময় মাংস ভালো মতো সিদ্ধ করা।

# অসুস্থ, মৃত অথবা বন্য কোনো প্রাণীর সংস্পর্শ থেকে বিরত থাকা।

 

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোনো মাংকিপক্সের বিস্তার হয় নাই। তাই সময় থাকতে রোগটি সম্পর্কে যথাযথ ধারণা নিয়ে সচেতন থাকাই মাংকিপক্স প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায়।

 

[তথ্য সূত্রঃ বিভিন্ন ওয়েবসাইট]

লেখকঃ

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।

একাডেমিক কোওর্ডিনেটর, ইমপেরিয়াল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম।

প্রাক্তন সহকারী অধ্যাপক, ক্লিনিক্যাল মেডিসিন,

মেডিকেল কলেজ অব সিয়ামেন ইউনিভার্সিটি, চীন।