চলমান সংবাদ

কুসিক নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী রিফাত টাকা দিয়ে মনোনয়ন কিনেছেন- এমন মন্তব্য করায় জানিপপ চেয়ারম্যানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

আসন্ন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন-কুসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে মনোনয়ন কেনার অভিযোগ করে বক্তব্য দেয়ায় জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদ-জানিপপ চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানিপপ চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য। বুধবার (১ জুন) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জহিরুল কবীরের আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ। মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে ৬০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে- টকশো’তে এমন মন্তব্য করেন জানিপপ চেয়ারম্যান। একই মামলায় আসামি করা হয়েছে ওই টকশো’র আরেক অতিথি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী এবং সঞ্চালক হাসিনা আক্তারকেও। বাদির আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯ ও ৩১ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। আদালত মামলা গ্রহণ করে পুলিশের চট্টগ্রামের সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ১২ জুলাই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশও দিয়েছেন আদালত। মামলার বাদি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ বলেন, ‘গত ১৯ মে লন্ডনভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেল টেবিল টক ইউকে আয়োজিত এক টকশো’তে উপস্থিত ছিলেন নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ ও মনিরুল হক চৌধুরী। সঞ্চালনা করছিলেন হাসিনা আক্তার। টকশোতে নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, মনোনয়নের জন্য আরফানুল হক রিফাত ১৩ কোটি টাকা খরচ করেন। পরে আবার বলেন ২০ কোটি টাকা। সবশেষ বলেন ৬০ কোটি টাকা। মনিরুল ও হাসিনা তাকে সমর্থন দেন।’ বাদি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে মনোনয়ন বোর্ডের সভায় সভাপতিত্ব করছিলেন। এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করেছেন। এছাড়া তিনজন মিলে মেয়র প্রার্থী, সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এবং আমাকে নিয়েও মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বিভিন্ন কথা বলেন। এজন্য বাধ্য হয়ে আমি আইনের শরণাপন্ন হয়েছি। আগামী ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। # ০১.০৬.২০২২ চট্টগ্রাম #