চলমান সংবাদ

চট্টগ্রামের খাল-নালা দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা নিজস্ব উদ্যোগে সরিয়ে না নিলে আইনানুগ ব্যবস্থা- মেয়র

নগরীর খাল-নালা দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা নিজস্ব উদ্যোগে সরিয়ে না নিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, নগরীর দুই-চারজন মানুষের জন্য পুরো নগরবাসী যুগ-যুগ ধরে জলাবদ্ধতার ভোগান্তিতে পড়ে থাকে এটা হতে পারে না। নগরীর অল্পকিছু সংখ্যক মানুষ খাল-নালা-নর্দমা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছে। আমি তাদের নিজ উদ্যোগে এসব অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। অন্যথায় আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হবো। পাশাপাশি নগরবাসীকেও সচেতন হতে হবে, যাতে নালা-নর্দমায় ময়লা আবর্জনা না পড়ে। আমাদের গৃহস্থালীর ময়লা আবর্জনা যদি নালা-নর্দমায় না পড়ে তাহেল জলজট হবার সম্ভাবনা কমে আসবে। শনিবার (২৮ মে) সকালে নগরীর বরাইপাড়া খাল খনন কাজ পরিদর্শনকালে সিটি মেয়র এসব কথা বলেন। মেয়র আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশে^র অনেক উন্নত দেশেও জলজট সৃষ্টি হচ্ছে। এশিয়াকে বিশ্বের বৃহৎ জনসংখ্যার দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বাংলাদেশ হচ্ছে এর মধ্যে অন্যতম এবং ভাটি এলাকা। এই বহুল জনগোষ্ঠিকে সচেতনা করা ছাড়া যত বড় প্রকল্পই নেয়া হউক কোন কাজে আসবে না। তিনি বরাইপাড়া খালের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামবাসীর প্রতি আন্তরিক হয়ে সম্পূর্ণ সরকারি ব্যয় বরাদ্দ দিয়েছেন। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে আমাদের সকলকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং আন্তরিক হতে হবে। মেয়র ৬৫ ফুট প্রস্থ ও ২.৯ কিলোমিটার দৈর্ঘের বরাইপাড়া খালের পুরো কাজ আগামী ডিসেম্বর ২৩ শেষ হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন। তিনি আরো বলেন, চসিকের নিজস্ব উদ্যেগে নগরীর ছোট-বড় সকল নালা-নর্দমা থেকে ময়লা-আবর্জনা ও মাটি উত্তোলন করে পরিষ্কার কার্যক্রম চালাচ্ছে। কিন্তু দুঃখ হলো পরিষ্কারের পরপরই জনসাধারন নালায় পলিথিনসহ ময়লা আবর্জনা ফেলে আবার ভারট করছে। আশা করি এলাকাবাসী এব্যাপারে সচেতন হবেন। নিজের ঘর-বাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন এবং নালা-নর্দমায় কোন প্রকার ময়লা আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকবেন। খাল পরিদর্শনকালে মেয়রের সাথে ছিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর এম. আশরাফুল আলম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর শাহিন আক্তার রোজি, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম ও প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম প্রমুখ।
# ২৯.০৫.২০২২ চট্টগ্রাম #