চলমান সংবাদ

সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় সেই মানিকের বিরুদ্ধে দুদক’র মামলা

নানা কারণে সমালোচিত নগরী লালখান বাজার ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবুল ফজল কবির আহমেদ মানিকের বিরুদ্ধে আবারো মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। অর্জিত সম্পদের বিবরণী দাখিল না করায় বৃহস্পতিবার (১২ মে) বিকেলে সাবেক এ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। একই অপরাধে তার সহধর্মিনী তাহেরা কবিরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আবু সাঈদ বাদি হয়ে মামলাগুলো দায়ের করেন। দুদক জানায়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ গ্রহণ করার পরও দুদক’র কাছে দাখিল না করায় দুদক আইনের ২৬ (২) ধারায় এ দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। দুদক সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে মানিকের নামে ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকার স্থাবর ও ১ কোটি ৫ লাখ টাকার অস্থাবর এবং তার স্ত্রী তাহেরা কবিরের নামে ৫৫ লাখ টাকার স্থাবর ও ২৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পত্তির তথ্য পায় দুদক। যদিও সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় প্রকৃত সম্পদের তথ্য পায়নি দুদক। তবে কর্মকর্তাদের ধারণা এসব সম্পদের বাইরেও সাবেক এ কাউন্সিলের নামে বেনামে আরও সম্পদ থাকতে পারে। দুদক চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মো. আবু সাঈদ বলেন, ‘সম্পদ বিবরণীয় দাখিল না করায় দুদক আইনের ২৬ (২) ধারায় ‘নন-সাবমিশন’ মামলা দায়ের করা হয়েছে মানিক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। কমিশনের নির্দেশক্রমেই মামলাগুলো দায়ের করা হয়। এর আগেও গত বছরের ৯ নভেম্বর সাবেক কাউন্সিলর আবুল ফজল কবির আহমেদ মানিকের বিরুদ্ধে পৃথক চারটি মামলা করে দুদক। ওই মামলায় তিনি ছাড়া আরও তিনজনকে আসামি করা হয়। লালখান বাজারে মসজিদের দোকান বরাদ্দ দেওয়ার নামে প্রত্যাশীদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ এবং সরকারি পাহাড় দখলে নিয়ে বাড়ি নির্মাণ, পুকুর খনন, ঘর নির্মাণ করে ভাড়া ও পাহাড় বিক্রিসহ সর্বমোট ১ কোটি ৪৭ লাখ ৮৭ হাজার টাকা আত্মসাতের দালিলিক প্রমাণ আনা হয়। এদিকে গ্যাসের মিটার মেরামতের কাজ করার জন্য গ্রাহকের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার দায়ে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের টেকনিশিয়ানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। বৃহস্পতিবার (১২ মে) বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুদক’র উপ-পরিচালক মো. আবু সাঈদ বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন- কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের টেকনিশিয়ান (গ্রেড-১) মো. মুছা খালেদ, ঠিকাদার মো. এরশাদ, মুছা খালেদের সহযোগী মো. বশির সরকার। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ১৬১/১০৯/১২০ (বি) ৫১১ ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদক চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক আবু সাঈদ বলেন, পরস্পর যোগসাজশে গ্রাহকের নিকট অসৎভাবে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করার দালিলিক প্রমাণ পাওয়ায় কমিশনের নির্দেশে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

# ১২.০৫.২০২২ চট্টগ্রাম #