চলমান সংবাদ

দুটি গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে চেরাগীতে কলেজছাত্র খুন ঘটনায় জড়িত কথিত বড় ভাই একদিনের রিমান্ডে

নগরের চেরাগী পাহাড়ে দুই কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র খুনের ঘটনায় প্রিয়ম বিশ্বাস (২৫) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রিয়ম বিশ্বাসের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ছুরিকাঘাতের সময় ওই যুবক ঘটনাস্থলে ছিল এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে বুধবার (২৭ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে নগরের সিআরবি সাত রাস্তার মোড় এলাকা থেকে প্রিয়ম বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। প্রিয়ম চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী গ্রামের বুড়ির দোকান মহাজন বাড়ির রানা বিশ্বাসের ছেলে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রুবেল হাওলাদার বলেন, চেরাগী পাহাড়ে ছুরিকাঘাতে আসকার বিন তারেক ইভান নামে কলেজছাত্র খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার প্রিয়ম বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার অন্যান্য আসামিদেরও ধরতে অভিযান ছরছে। তিনি বলেন, প্রিয়ম মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নয়। তদন্তে তার নাম এসেছে। ছুরিকাঘাতের সময় প্রিয়ম সেখানে উপস্থিত ছিল। গত শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে নগরীর চেরাগি পাহাড় সংলগ্ন রাজাপুর লেইনের কর্ণফুলী ভবনের সামনে ছুরিকাঘাতে আসকার বিন তারেক ওরফে ইভান (১৮) নামে এক তরুণ খুন হন। ইভান নগরীর বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন, তার বাসা নগরীর এনায়েত বাজার এলাকায়। শুক্রবার রাতেই ছুরিকাহত শোভন নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ইভান নিহত হওয়ার ঘটনায় তার বাবা এস এম তারেক বাদি হয়ে কোতোয়ালী থানায় ৮ জনকে আসামি করে শনিবার (২৩ এপ্রিল) হত্যা মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন- শোভন (১৮), ধ্রুব (২০), প্রান্ত (২০), শ্রাবণ (২০), শচীন (২০), রুবেল (২০), মহান (২০) ও অর্ক (২০)। তবে প্রিয়মের নাম মামলার এজাহারে নেই। পুলিশ জানায়, জামালখানে ফুটপাতের পাশে চেয়ারে বসা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে ঝগড়া একপর্যায়ে সংঘাতে রূপ নেয়। এর জেরেই ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারান কলেজ ছাত্র ইভান। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ-সিএমপি’র সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী) মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, ছুরিকাঘাতের পর গ্রেপ্তার প্রিয়মসহ কয়েকজন রক্তাক্ত ইভানকে ধরাধরি করে নিয়ে যাচ্ছিল। তদন্তে আমরা তথ্য পেয়েছি, ইভানকে মূলত ছুরিকাঘাত করে মহান নামে এক উঠতি বয়সী তরুণ। এই মহানের কথিত বড় ভাই হচ্ছে প্রিয়ম। ছুরিকাঘাতের সময় ইভানকে কয়েকজন কিশোর-তরুণ দুইদিক থেকে শক্ত করে ধরে রাখে। প্রিয়ম তার একহাত ধরে রেখেছিল, মহান ছুরিকাঘাত করেছিল। কোতোয়ালি থানার ওসি জাহিদুল কবীর বলেন, ইভান হত্যা মামলায় এর আগে শোভন নামে যে তরুণ গ্রেপ্তার হয়েছিল, সে কিশোর বয়সী হওয়ায় তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি। প্রিয়ম আগে থেকেই জামালখানসহ আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। তার বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
# ২৮.০৪.২০২২ চট্টগ্রাম #