চলমান সংবাদ

চট্টগ্রামে শিশু আরাফ হত্যার রায় আবার পেছালো চট্টগ্রামে শিশু আবদুর রহমান আরাফ হত্যা মামলার রায়

ঘোষণার ধার্য দিনে আসামির করা এক আবেদনের পর রায় ঘোষণা আর হয়নি। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে হত্যা মামলাটির রায় ঘোষণার দিন নির্ধারিত ছিল। মামলার তিন আসামির একজন মো. হাসানের পক্ষে করা আবেদনে নিহত আবদুর রহমান আরাফ মামলার বাদি আবদুল কাইয়ুম ও গৃহিনী ফারহানা ইসলামের ‘সন্তান নয়’ দাবি করে ডিএনএ টেস্টের আবেদন জানানো হয়। বৃহস্পতিবার এ মামলার তিন আসামিও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে মো. ফরিদ ও নাজমা বেগম কারাগারে আছেন। অপর আসামি মো. হাসান জামিনে আছেন। এরআগে গত ৩০ মার্চ এ মামলায় রায় ঘোষণার দিন নির্ধারিত থাকলেও সেদিন বিচারকের ব্যস্ততার কারণে তা পিছিলে ২৮ এপ্রিল দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল। মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামি হাসানের পক্ষে ডিএনএ টেস্টের আবেদন করা হয়। আসামি হাসান উচ্চ আদালত থেকে যে জামিনে ছিলেন তার মেয়াদ শেষ হয়েছে। তাই আমরা তার জামিন বাতিলের আবেদন করেছি। আসামি পক্ষের আবেদন ও আমাদের আবেদন বিষয়ে শুনানির জন্য ১৮ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত। নিহত শিশু আরাফের বাবা আবদুল কাইয়ুম বলেন, মামলার সকল ধাপ সম্পন্ন করে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়। এ পর্যায়ে আসার পর এ ধরনের আবেদন অযৌক্তিক। আমার ছেলে নাকি আমার না! রায় ঘোষণা বিলম্বিত করতেই তারা এ আবেদন করেছে বলে আমার ধারণা। আমার একটাই দাবি, আমরা যেন সন্তান হত্যার যথাযথ বিচার পাই। আদালত সূত্র জানান, ২০২০ সালের ৬ জুন বিকেলে নগরীর বাকলিয়া থানার মিয়াখান নগরে একটি ভবনের ছাদে পানির ট্যাংকে ফেলে হত্যা করা হয় দুই বছরের শিশু আরাফকে। ওই ঘটনায় করা মামলায় আসামি করা হয় মিয়াখান নগরের বাসিন্দা মো. ফরিদ, শিশু আরাফের পরিবার যে বাড়িতে ভাড়া থাকত সেই ভবনের দারোয়ান মো. হাসান ও হাসানের মা নাজমা বেগমকে। তিন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ১৯ নম্বর দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আলম মিয়াকে ফাঁসাতে তার মালিকানাধীন ভবনের বাসিন্দা কোনো শিশুকে হত্যা করতে নাজমাকে ২০ হাজার টাকার লোভ দেখান বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর অনুসারী ফরিদ। নাজমা বেগম আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে বলেছিলেন, বাড়িওয়ালাকে ফাঁসাতে ভাড়াটিয়ার সন্তান শিশু আরাফকে আদর করার ছলে পানির ট্যাংকে ফেলে হত্যা করেন। ঋণগ্রস্ত হয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় অর্থের লোভ এবং পাশের ভবনের বাসিন্দা ফরিদের প্রলোভনে বাড়িওয়ালাকে ফাঁসাতে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। ঘটনার সময় নাজমার ছেলে হাসান (২৩) গেইট খুলে দিয়ে তাকে ছাদে উঠতে সহায়তা করেছিলেন। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ২০ জনের সাক্ষ্য এবং আসামি পক্ষে ১০ জনের সাফাই সাক্ষ্য হয়েছে।
# ২৮.০৪.২০২২ চট্টগ্রাম #