চলমান সংবাদ

কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও খননের দাবি

ড্রেজিং-ড্রেজিং খেলায় মরতে বসেছে কর্ণফুলী উচ্চ আদালদের আদেশ অনুযায়ী কর্ণফুলী নদী তীরের ১৮ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও নদী খননের দাবিতে নগরীর চাক্তাই খালের মোহনাস্থ কর্ণফুলী নদীর তীরে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনসহ পাঁচ সংগঠন। রোববার (২৪ এপ্রিল) সকালে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্ণফুলী নদী দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর ও জেলা প্রশাসনকে লুকোচুরি খেলা খেলছে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করে ড্রেজিং-ড্রেজিং খেলার মাধ্যমে কর্ণফুলীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন নেতৃবৃন্দ। মানববন্ধনে অংশ নেয়া সংগঠনগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন, বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম, গ্রামীণ পরিবেশ ও কৃষ্টি উন্নয়ন, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন ও ইউনাইডেট সোশ্যাল নেটওয়ার্ক। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কর্ণফুলী নদীতে শাহ আমানত সেতুর মাঝ পিলার বরার ভাটার সময় জেগে উঠে চর। জেলেরা সেখানে মাছ ধরে। চাক্তাই ও রাজাখালী খালের মোহনায় মাছ বাজার গড়ে উঠেছে। এর ফলে মোহনায় কর্ণফুলী নদীর অর্ধেকের বেশি ভরাট হয়ে গেছে। নদীর মাঝখানে পানির গভীরতা মাত্র দুই থেকে আড়াই মিটার। কর্ণফুলীর গভীরতা পরিমাপ করে দেখা গেছে, মাছ বাজার থেকে আরও প্রায় ৩০০ মিটার দক্ষিণে অর্থাৎ কর্ণফুলী নদীর মাঝ বরাবর প্রায় তিন কিলোমিটারব্যাপী বিরাট চর জেগে উঠেছে। এই স্থানে নদীর চলমান ধারা ৩০০ থেকে ৩৫০ মিটার মাত্র। কিন্তু ২০১৪ সালের এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক ও বন্দর কর্তৃপক্ষ পরিচালিত জরিপে সেখানে নদীর প্রশস্ততা ছিল ৯৩৫ মিটার প্রায়।’ বক্তারা আরও বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষ একদিকে ড্রেজিং করছে, অন্যদিকে নিজেরাই মাছ বাজার বসাচ্ছে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে বন্দর ও জেলা প্রশাসন লুকোচুরি খেলছে। এর ফলে মরতে বসেছে কর্ণফুলী। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ গবেষক অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি চৌধুরী ফরিদ ও সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান, মেরিন ফিশারিজ একাডেমির শিক্ষক নোমান আহমেদ সিদ্দিকী, বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দাশ, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক মনোজ কুমার দেব, আবৃত্তিশিল্পী দিলরুবা খানম, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি এস এম পেয়ার আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাফর আহমেদ, সদস্য আবুল হোসেন আবুল ও জসীম উদ্দিন ।

# ২৪.০৪.২০২২ চট্টগ্রাম #